আজ সোমবার, ২৫ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।   ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অর্থাভাবে মেধাবী আশামনির ডাক্তার হওয়ার আশা ভঙ্গের উপক্রম

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

সংবাদদাত, ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম): কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পিএসসিতে জিপিএ ৪.৭৫, জেএসসিতে জিপিএ ৫ এবং এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়া মেধাবী ছাত্রী আশামণির লেখাপড়া পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে বন্ধ হওয়ার উপক্রম। আশামনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঠোস বিদ্যাবাগীশ গ্রামের আজিত মিয়ার মেয়ে। ছোট বেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী আশামণি। দারিদ্র্যতার সাথে লড়াই করে সে চালিয়ে গেছে তার পড়া-লেখা। সে পানিমাছকুটি মডেল সরকারী  প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে পিএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৭৫ ও জেএসসি পরীক্ষার  জিপিএ ৫ পেয়েছিল। ফুলবাড়ী জছিমিঞা সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় হতে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় (বিজ্ঞান বিভাগ) জিপিএ ৫ পাওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করে। আশামণির স্বপ্ন সে লেখাপড়া শেষ করে একদিন ডাক্তার হবে। দেশের মানুষের সেবা করবে। তবে তার সে স্বপ্নের পথে বড় বাঁধা অভাব। ইতিমধ্যেই তার দিনমজুর পিতা খরচ যোগাতে অপারগতা প্রকাশ করে তার লেখাপড়া বন্ধ করে দেয়ার কথা বলেছে। সরেজমিনে গিয়ে আশা মনির মায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের ভিটেবাড়ীর সাড়ে তিন শতাংশ জমি ছাড়া আর কোন জমিজমা নাই। পরিবারে চারজন সদস্যদের খরচ যোগাতে আশার বাবা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।তার যা আয় হয় তা দিয়ে কোনমতে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাই।শতকষ্টেও এতোদিন আশামনি লেখাপড়া বন্ধ করেনি। সে লেখাপড়া শেষ করে মানুষের মত মানুষ হতে চায়।তবে এখন আমরা তার লেখাপড়ার খরচের হিসাব শুনে দিশেহারা। তার কলেজে ভর্তি হতে যা টাকা লাগে এবং বই পত্র কেনার খরচ।এতো টাকার যোগান দেয়া তার বাবার পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব না। এই অবস্থায় আশামনির ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নকে বাস্তব করতে তার লেখাপড়ার খরচের যোগান দিতে সমাজে সহৃদয়বান ব্যাক্তিদের  সহযোগীতা কামনা আশামনি ও তার পরিবারের।

 

আলোকিত প্রতিদিন/২৭ জুলাই’২০/এসএএইচ

 

- Advertisement -
- Advertisement -