সংবাদদাত, গাইবান্ধাঃ মহামারী করোনায় জনজীবন স্থবির, বন্যায় দীর্ঘদিন পানিবন্দি জীবনযাপন ও ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনে মাথা গোজার আশ্রয় বসতভিটা হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। ঘরবাড়ী হারিয়ে নিঃস্ব মানুষগুলো শিশু সন্তান নিয়ে দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে। করোনার ঝুঁকি ভুলে গিয়ে গবাদিপশু ও পরিবারের সদস্যদের সাথে গাদাগাদি বসবাস করছে। বন্যার পূর্বে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের গো-গাট এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ সংস্কার না করায় নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। শুক্রবার (২৪ জুলাই) বিকালে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ঐতিহ্যবাহি দূর্গামন্দিরসহ ৫০টি বসতবাড়ি, কৃষি জমি ও গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এছাড়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কামারজানি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়,কামারজানি বন্দর, মার্চেন্ট হাইস্কুলসহ ৫শত পরিবারের বসতবাড়ি ও আবাদি জমি ভাঙ্গনের চরম হুমকির মুখে রয়েছে। এলাকাবাসী বলেন ২০১৬ সালে গো-ঘাট গ্রামটি ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। এরআগে এ গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক পরিবারের বসত বাড়ি, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মসজিদসহ অসংখ্য স্থাপনাসহ ২শত ১৫ একর আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বন্যার স্রোতে নদী ভাঙ্গন বৃদ্ধি পাওয়ায় সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দীঘলকান্দি, গোবিন্দপুর, পাতিলাবাড়ি, নলছিয়া, কালুরপাড়া ও বেড়া গ্রামের দু’শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফুলছড়ি উপজেলার চর কাবিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝানঝাইড় কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কালাসোনা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। হুমকির মুখে পড়েছে জিগাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চৌমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোল্লারচর ইউনিয়নে গত এক সপ্তাহে বাজে চিথুলিয়া ও চিথুলিয়া গ্রামের ৩১৮টি পরিবার নদী ভাঙ্গনের ফলে গৃহহারা হয়েছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর, হরিপুর ও কাপাসিয়ার পোড়ার চরে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/২৬ জুলাই’২০/এসএএইচ