সংবাদদাতা,বেনাপোলঃ যশোরের শার্শা উপজেলার গোগায় মেহেদি হাসান (২৬)নামে এক মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের হ্যান্ডক্যাপসহ পালিয়ে যাওয়ার ৭ ঘন্টা পর আটক করতে সক্ষম হয়ে সফলতা অর্জন করেছে শার্শা থানা পুলিশ। মেহেদি হাসান গোগা গ্রামের গাইন পাড়ার কোরবান আলীর ছেলে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সোমবার (১৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আকবার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলা গোগা গাইনপাড়ায় মাদক ব্যবসায়ী মেহেদি হাসানের বাড়িতে হানা দেয়। এসময় অভিযান চালিয়ে ঘরের ভিতর থেকে ১৩০ বোতল ফেন্সিডিলসহ মেহেদি হাসান ও তার মা এবং আরো তিনজন মাদক পাচারকারী মহিলাসহ মোট ৫জনকে আটক করে। এসময় এএসআই আকবর মাদক ব্যবসায়ী মেহেদির হাত পিছনে দিয়ে হ্যান্ডক্যাপ লাগিয়ে দেয় এবং আটক ৪জন মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এসময় সুযোগ বুঝে মাদক ব্যবসায়ী মেহেদি এএসআই আকবারের চোখ ফাঁকি দিয়ে হ্যান্ডক্যাপ পরিহিত অবস্হায় পালিয়ে যায়। এএসআই আকবর ঘটনাস্হল থেকে এসময় ১৩০ বোতল ফেন্সিডিলসহ মেহেদির মা রোজিনা খাতুন (৪৮),যশোর কোতয়ালী থানার শংকরপুর এলাকার মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আসমা খাতুন (৩৫), যশোর করবালা এলাকার ছিকুর মেয়ে ফাতেমা খাতুন (৪০), যশোর চাচড়া রায়পাড়া তুলোতলার কামরুলের স্ত্রী রওশন আরা (৪৫) মোট ৪জনকে আটক দেখিয়ে শার্শা থানায় সোপর্দ করে। এসময় এএসআই আকবর হ্যান্ডক্যাপ পরিহিত অবস্হায় পালিয়ে যাওয়া মেহেদিকে আটক করতে পারেনি বলে জানা যায়। এব্যাপারে হ্যান্ডক্যাপ পরিহিত অবস্হায় পালিয়ে যাওয়া মেহেদির আটকের বিষয়ে এএসআই আকবরকে একাধিক বার ফোন দিয়ে জানতে চাইলেই বারবার ফোনের লাইন কেটে দেয়।পরে অনেক চেষ্টা করেও আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উত্তম কুমার বিশ্বাস বলেন, তিনি কেশবপুর নির্বাচনী এলাকায় আছেন। ঘটনার পরপরই মেহেদিকে আটক করতে এএসপি নাভারন সার্কেল জুয়েল ইমরান এবং শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলমের নেতৃত্বে এলাকায় পুলিশের সাড়াশি অভিযান শুরু হয়ে যায়। একপর্যায়ে সড়াশি অভিযানের দীর্ঘ ৭ ঘন্টাপর বিকাল ৫ টার দিকে উপজেলার আমলাই গ্রামের একটি ঘের থেকে মাদক ব্যবসায়ী মেহেদিকে হ্যান্ডক্যাপ পরিহিত অবস্থায় আটক করা হয়। এ বিষয়ে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল আলম বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন , ঘটনাস্হল থেকে হ্যান্ডক্যাপ নিয়ে মাদক ব্যবসায়ী মেহেদি পালিয়ে গেলে পুলিশের সাড়াশি অভিযান চালিয়ে বিকাল ৫টার সময় আমলাই গ্রামের একটি ঘের থেকে হ্যান্ডক্যাপ পরিহিত অবস্থায় তাকে আটক করা হয়। এব্যাপারে শার্শা থানায় মাদকদ্রব্য আইনে ৫জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে যশোর কোর্টে প্রেরণ করা হবে বলে ওসি বদরুল আলম জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/১৪ জুলাই’২০/এসএএইচ