সংবাদদাতা,কলাপাড়া(পটুয়াখালী): কলাপাড়ায় পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে চলতি ছয় মাসে ৫৫ জন মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৬৪ হাজার ৯শত ২৯ পিস ইয়াবা, ১৭ লিটার চোলাই মদ এবং ২ কেজি ৭৫ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। এসময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে থানায় মোট ৪৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের সূত্রে জানা যায়, মাদকের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে কলাপাড়া থানার অন্তর্গত এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার করেছে পুলিশ। অভিযান সফল করতে সোর্সের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। যেখানেই মাদক সেখানেই পুলিশী এ্যাকশন। মাদক বিরোধী অভিযান, গ্রেফতার ও মাদক উদ্ধার এখন কলাপাড়া থানা পুলিশের প্রতিদিনের রুটিন ওয়ার্ক। এজন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের উৎসাহিত করতে জেলা পুলিশ ও রেঞ্জ পুলিশের পক্ষথেকে সর্বোচ্চ গ্রেফতার ও মাদক উদ্ধারকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে মাস ভিত্তিক ক্যাটাগরিতে সেরা মাদক উদ্ধারকারী কর্মকর্তা হিসেবে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। যাতে মাদক বিরোধী অভিযানে পুলিশ কর্মকর্তাদের আগ্রহ ও মনোবল আরও বৃদ্ধি পায়। কলাপাড়া থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মাদকের সাথে কোন আপোষ নেই। সে যেই হোক, সমাজের যেকোন ক্ষমতাধর মানুষ। কাউকে ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নাই। মাদক বিরোধী অভিযান আরও জোরদার করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গত ১জানুয়ারী ২০২০ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ১ কোটি ৯৮ লক্ষ ৯১ হাজার ৩০০ টাকা মূল্যের ইয়াবা, গাঁজা ও চোলাই মদ জাতীয় মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় ৫৫জনের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৪৪টি মামলা করা হয়েছে। এসকল মামলার অধিকাংশ তদন্ত প্রতিবেদন বিচারের জন্য আদালতে দাখিল করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাসহ কক্সবাজার ও টেকনাফ উপকূলে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধির ফলে কুয়াকাটার সমুদ্র উপকূল এখন মাদক পাচারের অন্যতম জোন হয়ে উঠছে। গত কয়েকবছরে মহিপুর থানার অন্তর্গত সমুদ্র উপকূল থেকে র্যাব ও কোষ্টগার্ডের হাতে ১০/১২ লাখ পিচ ইয়াবা উদ্ধার হলেও এক্ষেত্রে মহিপুর থানা পুলিশের উল্লেখযোগ্য কোন অর্জন নেই। এমনকি মহিপুর থানার অন্তর্গত সমুদ্রপথে এসব মাদকের চালান এসে মৎস্যবন্দর মহিপুর ও কুয়াকাটা উপকূল থেকে খালাস হয়ে সড়ক পথে র্যাবের হাতে আটক হলেও মহিপুর থানা পুলিশ রহস্যজনক কারণে এর কোন হদিস পাচ্ছেনা।
আলোকিত প্রতিদিন/৮ জুলাই’২০/এসএএইচ