প্রতিনিধি,সাটুরিয়াঃ কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশীয় প্রদ্ধতিতে ষাঁড় গরু মোটাতাজা করনে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাইপাড়া/কান্দাপাড়ার খামারি দম্পতি। গরুর মালিক সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটি ইউপির দক্ষিণ ভাসিয়ালী কৃঞ্চপুর গ্রামের মৃত হাবেজুদ্দিনের পুত্র হারুন অর রশিদ হারু। এ বিষয়ে হারু বলেন, তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম এ গরুটির মোটাতাজা করনে যত্নসহকারে লালন-পালনের দায়িত্ব নিয়ে সর্বসময়ে সহযোগিতা করে আসছে। কালু রংবাজ নামের গরুটির খাদ্য তালিকার বর্ণনা দিয়ে বলেন, গমের ভুষি, কলা, নাশপতি ও আপেল ফল, ভাত, ভাতের মাড়, ধানের কুড়া, ভূট্টা, রোপিত নেপোলিয়ান জাতীয় তাজা ঘাস, খঁড় ও খৈলসহ বিভিন্ন জাতীয় দেশীয় খাদ্যদ্রব্য খাওয়ানো হচ্ছে। গরুটি মোটাতাজা করনে এ যাবত কোন নিষিদ্ধ ইনজেকশন বা ওষধ-পত্রাদি খাওয়ানো হয়নি। কোন ডাঃ দ্বারা তা প্রমাণ হলে ওই গরুর সমুদয় মূল্য ফেরত দিবে বলে অঙ্গীকারাবদ্ধ রয়েছেন তারা। গরুটির সম্প্রতি দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৯ ফুট আর উচ্চতা হচ্ছে সাড়ে ৫ ফুট আর দাঁতের সংখ্যা হচ্ছে ৪টি এবং মাংশের পরিমাণ ধার্য করা হচ্ছে ১৬০০ কেজি অর্থাৎ ৪০ মন। গরুটি ক্রয় করার জন্যে দৈনিক এলাকার কোরবানির খরিদ্দারসহ দুরদুরান্ত থেকে আসছেন অনেক বেপারী। দর-দামও উঠছে বেশ ভালো। মালিকসহ প্রতিবেশী রহিম, ছাওার, জাব্বার, খালেক, ছখিনা ও ছালেহা বেগমসহ আরো অনেকে জানান যে, করোনা ভাইরাসের সময়ে যদি প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে আরো গরু আমদানি না হয় আর এছাড়া দেশী প্রদ্ধতিতে মোটাতাজা করনের কারণে এ গরুটি বেশ উচ্চ মূল্যে বিক্রি হতে পারে বলে তারা আশা প্রকাশ করেছেন। গরুটি অষ্ট্রেলিয়ান সিন্ডী জাতীয় কালো ও সাদা রং মিশ্রিত তাই দেখতে বেশ চমৎকার ও সুন্দুর লাগছে। গরুটি এক নজর দেখতে দৈনিক দুরদুরান্ত থেকে আসছে এ বাড়িতে অগনিত নারী,পুরুষ। গরুটির খাদ্য তালিকায় দৈনিক প্রায় ২ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে বলে খামারি মালিক জানান। তাই ইচ্ছা থাকলে এক নজর দেখার জন্যে শীঘ্রই উল্লেখিত ঠিকানায় স্ববানন্ধে আপনিও আসতে পারেন পরিদর্শনে অথবা পছন্দ হলে আপনিও ক্রয় করতে পারেন! মালিক পক্ষের যোগাযোগের মোবাইল ফোন নম্বর হচ্ছে ০১৩১১২০২৬২৯ । এ গরুটির খরিদ্দারকে বোনাস হিসেবে প্রায় ৫০ কেজি ওজনের রকি নামের একটি রাম ছাগল ফ্রি দেওয়া হবে বলে জানান মালিক পক্ষ হারু । মোটাতাজা করনে এ ষাঁড় গরুটি ছাড়াও এ খামারে আরো ৯/১০টি দুধওয়ালা গাভী রয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/৩ জুলাই,২০/এসএএইচ