শ্রীপুরে খাবার হোটেলে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ভুয়া সাংবাদিকসহ গ্রেফতার-৪

0
337

আলমগীর হোসেন,শ্রীপুর (গাজীপুর): গাজীপুরের শ্রীপুরে সাংবাদিক পরিচয়ে খাবার হোটেলে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ভুয়া সাংবাদিকসহ তার চার সহযোগীকে আটক করেছে স্থানীয়জনতা। তবে তাদের আরেক সহযোগী আরিফ হোসেন পালিয়ে যায়। পুলিশ তাদের কাছ থেকে একটি নোয়া গাড়ী জব্দ করেছে। সোমবার (২৯ জুন) রাত ৮টায় শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তা বিসমিল্লাহ বিরানি হাউজ থেকে তাদের আটক করে শ্রীপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতারকৃতরা হলো কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার চরআলগী (বৈরাগীরচর) গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মোস্তফা কামাল (৪০), তার সহযোগী গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার আজুগীরচালা গ্রামের বুলবুল হোসেনের ছেলে জাহিদ হাসান (১৯), বহেরারচালা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে সাবিব্বর হোসেন (২০), বেলতলী গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (২০) এবং নোয়া গাড়ীর চালক পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার মাদারসী বাজার এলাকার শাহাজাহন হাওলাদারের ছেলে মানিক হাওলাদার (৪৫)। বিসমিল্লাহ বিরানি হাউজের কর্মচারী সাগর খান জানান, সোমবার রাত ৮টায় একজন খাবার হোটেলে প্রবেশ করে তাদের খাবারে ব্যাঙ পাওয়ার অভিযোগ তুলেন। তার কিছুক্ষণপর সাংবাদিক পরিচয়ে কয়েকজন হোটেলে প্রবেশ করেন এবং দোকানের ভিডিও ধারণ করা শুরু করেন। এসময় তাদের মূল হোতা মোস্তফা কামাল ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। হোটেল মালিক ভয়ে ১০ হাজার টাকা তাদের হাতে তুলে দেয়। পরে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা তাদের আটক করে। এসময় ঘটনার মূলহোতা মোস্তফা কামালসহ অন্যরা পালিয়ে গেলেও স্থানীয়রা জাহিদ এবং সাব্বিরকে আটক করে শ্রীপুর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। আটককৃত দুজনকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে ঘটনার মূলহোতা মোস্তফা কামালসহ তার আরো দুই সহযোগীকে হোটেল কর্মচারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ আটক করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীপুরে সাংবাদিক পরিচয়ে সংঘবদ্ধ কয়েকটি চক্র সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে আসছে। বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি, কারখানা থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে আসছে। তবে হয়রানির ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না। শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মনিরুজ্জামান জানান, মোস্তফা কামাল নিজেকে সিএনএন বাংলা টিভির ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি, টাটা টিভির বিশেষ প্রতিনিধি, সিবি টিভির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ক্রাইম বাংলা টিভির চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন গনমাধ্যমের পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে থাকে। তার কাছ থেকে সিএনএন বাংলা টিভি, ৭১ বাংলা টিভি, তারা টিভির পরিচয়পত্র উদ্ধার এবং একটি নোয়া গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-চ ৫১-৩৮৪৭), একটি ক্যামেরা, একাধিক মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। বিসমিল্লাহ বিরানি হাউজের কর্মচারী সাগর খানের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/৩০ জুন’২০/এসএএইচ

 

 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here