::নিজস্ব প্রতিবেদক::
রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কীভাবে লঞ্চটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ল- তা নিয়ে জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে প্রশ্ন। জীবিত উদ্ধারকৃত অনেকেই জানিয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতার কথা। নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও সেনাবাহিনী। ডুবে যাওয়া লঞ্চ মর্নিং বার্ড উদ্ধারে নারায়ণগঞ্জ থেকে রওনা দিয়েছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়।
ওই লঞ্চের যাত্রী মো. মাসুদ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘ঘাটে ভেড়ার জন্য আমাদের লঞ্চ সোজা আসছিল। অন্য একটা লঞ্চ ত্যাছড়াভাবে রওনা দিয়েছে। ত্যাছড়াভাবে রওনা দেয়াতে ওই লঞ্চটা ধাক্কা দিয়েছে আমাদের লঞ্চের মাঝে। ধাক্কা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চটা কাইত হয়ে ডুবে গেছে। তলায় যেতে ১০ সেকেন্ডও সময় নেয়নি।’
নিজের অবস্থান বর্ণনা দিয়ে ওই যাত্রী বলেন, ‘আমি কেবিনে ছিলাম। গ্লাস খুলে আমি বের হইছি। ভেতরে আমার আপন দুই মামা ছিলেন। তারা তো বের হতে পারেননি। তাদের খোঁজ করছি।’ তার নিখোঁজ থাকা দুই মামা হলেন- আফজাল শেখ ও বাচ্চু শেখ।
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর লঞ্চে থাকা প্রায় ৫০ জনের মতো যাত্রী আমরা সাঁতরে পাড়ে উঠতে পারছি। বাকি যাত্রী কেউ উঠতে পারেনি। তারা লঞ্চের ভেতরেই ছিলেন। আমরা প্রায় ১৫০ জনের মতো লোক ছিলাম।’লঞ্চডুবির বিষয়ে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দোতলা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ নামের লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে তুলনামূলক ছোট মর্নিং বার্ড ডুবে যায়।
অন্যদিকে, রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ। একই ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌমন্ত্রণালয়।