সংবাদদাতা,রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর সর্ব দক্ষিনে অবস্থিত রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে কোন লঞ্চ টার্মিনাল না থাকায় যাত্রীদের দূর্ভোগ এখন নিত্যদিনের সঙ্গী। প্রতিদিন ৩ টি যাত্রীবাহী একতলা লঞ্চ মৌডুবীর নিজকাটা থেকে ছেড়ে গলাচিপা ও কলাপাড়া নৌপথে যাতায়াত করে। এতে লঞ্চগুলোকে গাইয়াপাড়া, বালিয়াতলী, টুঙ্গিবাড়িয়া, ফেলাবুনিয়া, ১২ নং ডিগ্রী, চালিতাবুনিয়া, কোড়ালিয়া, পানপট্টিসহ অন্তত ৭/৮ টি ঘাট অতিক্রম করতে হয়। কিন্তু কোড়ালিয়া এবং পানপট্টি ব্যাতিত কোন ঘাটে টার্মিনাল না থাকায় লঞ্চগুলো নদীর চরে ভিড়ে ফলে ভোগান্তিতে পরে যাত্রীরা। ভাটার সময় হাটু কাঁদা পেরিয়ে লঞ্চে আরোহন করে আর জোয়ারের সময় সহায়ক হয় ঝালকাঠি বা কুষ্টিয়ার গামছা। মহিলা ও শিশুদের দূর্ভোগের সীমা থাকে না। বোরখা কাপর ভিজিয়ে আদরের সন্তান কোলেকাঁধে নিয়ে বহু কষ্টে লঞ্চে ওঠে। বিকল্প কোন যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন এমন দূর্ভোগ পোহাতে হয় বলে যাত্রীরা জানান। তারা আরও জানান, গাইয়াপড়া লঞ্চঘাটে অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ একটি টার্মিনাল দিলেও অজানা কারণে তা ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া লঞ্চঘাটে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ কারণে অন্যান্য ঘাটেরমত ঐ ঘাটেও প্রতিদিন যাত্রীদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়। এ ব্যপারে লঞ্চ মালিক পক্ষ জানায়, কোনো ঘাটে র্টামিনাল না থাকায় বাধ্য হয়ে নদীর চরে লঞ্চ ভিড়াতে হয়। ফলে যাত্রীদের ওঠানামায় কোন সহায়তা দেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। এসব ঘাটগুলোয় টার্মিনাল দেয়া হলে, যাত্রীদের দূর্ভোগ এড়ানো সম্ভব। অবিলম্বে এসব ঘাটগুলোর দিকে সদয় দৃষ্টি দেয়া একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করছেন ইউনিয়ন বাসী।
আলোকিত প্রতিদিন/২৫ জুন’২০/এসএএইচ