গাইবান্ধায় নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

সংবাদদাতা,গাইবান্ধা: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে গাইবান্ধায় নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের নীচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গাইবান্ধায় নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। যমুনা নদীর পানি বাড়তে শুরু করায় স্রোতের তীব্রতা বেড়ে সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের বড়মতাইড় গ্রামে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে এই ইউনিয়নের প্রায় পাঁচ একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গত দুই বছরে হলদিয়া ইউনিয়নের দুটি মসজিদ, একটি কবরস্থান, ৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তাসহ তিন শতাধিক পরিবারের বসতভিটা যমুনা নদীতে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে একটি তিনতলা মাদ্রাসা, চারটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দুটি ঈদগাহ মাঠসহ আরও কয়েক হাজার পরিবার। ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের কাতলামারী ও খাটিয়ামারীর চরে নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে সহস্রাধিক পরিবার গৃহহীন হবে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর,কাপাসিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোকলেছুর রহমান বলেন, নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ অব্যাহত আছে। নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে যে সব এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে সে সব এলাকায় বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফালানো হবে এবং ১৪টি পয়েন্টে কাজের জন্য চাহিদাপত্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে ।

 

আলোকিত প্রতিদিন/২২ জুন’২০/এসএএইচ

 

- Advertisement -
- Advertisement -