কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ১ লাখ চারা রোপনের উদ্যোগ

0
578

আবু সায়েম, কক্সবাজারঃ কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ১ লাখ চারা রোপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সমুদ্রের তীর ঘেঁষে গড়ে উঠা মেরিন ড্রাইভ সড়ক সবুজায়নে ২৫ হাজার বিভিন্ন ফলজ- বনজ এবং  ঔষধি গাছের চারা রোপন করা হয়েছে।  গত ১০ জুন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে.কর্ণেল ফোরকান আহমদ উক্ত গাছের চারা রোপন উদ্বোধন করেন। পর্যায়ক্রমে কউকের আওতাধীন  সাত উপজেলায় বাকি ৭৫ হাজার চারা রোপন কার্যক্রমও সম্পন্ন করবেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার  উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কউক অধিক্ষেত্রের মেরিন  ড্রাইভ সড়কে পাটুয়ারটেক থেকে টেকনাফ পর্যন্ত  প্রায় ৫০ কি. মিটার রাস্তার  ২৫ হাজার চারা গাছ লাগানো হয়েছে। এলাকা ভিত্তিক গাছগুলোর পরিচর্যার জন্য পরিবেশপ্রেমী স্বেচ্ছাসেবক, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দসহ জনগোষ্ঠীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। গাছের চারা রোপন  উদ্বোধনের সময় বনবিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ ইসিবি, পুলিশ বিভাগ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনকালে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল অব ফোরকান আহমদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে নির্দেশনা দিয়েছেন কউক সে সকল নির্দেশনা বাস্তবায়নে একাগ্রচিত্তে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধপরিকর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে কক্সবাজারবাসীর সেবা করার জন্য নিয়োগ দিয়েছেন। জীবন দিয়ে হলেও আমি নীতি নৈতিকতায় অবিচল থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজারের প্রতি স্বপ্ন এবং ইশতেহার বাস্তবায়নে বিবিধ সেবামূলক এবং জনমুখী উদ্যোগ সম্পাদন করবো। তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারের যে নৈসর্গিক সৌন্দর্য রয়েছে তা পর্যটক বান্ধব হিসেবে এবং পর্যটকদের উপভোগ করার জন্য কউক বিভিন্ন শৈল্পিক এবং উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ইতিমধ্যে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন  পুকুরের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শেষ পর্যায়ে।  কউক কক্সবাজারবাসী এবং পর্যটকদের আকর্ষিত করতে সৃজনশীল কাজ বাস্তবায়নে সর্বদা নিয়োজিত এবং সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে দুর্বার গতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর  স্বপ্ন বাস্তবায়নে অংশীদার হবেন।  এছাড়াও বন বিভাগের যেসকল পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো বাদ দিয়ে তাদের সাথে সমন্বয় করে ঝাউ গাছ ও অন্যান্য গাছ লাগানো হবে। ১ লাখ চারা গাছ রোপণের  পাশাপাশি সৈকত এলাকায় জীব বৈচিত্র্য রক্ষার্থে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান নির্দিষ্ট করে তা সংরক্ষণের জন্য ইতোমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/২২ জুন’২০/এসএএইচ   

 

 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here