আলমগীর হোসেন,শ্রীপুর (গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে চাঁদা দিতে নিষেধ করায় মাওনা চৌরাস্তা ব্যবসায়ী মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোশারফ সরকারের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২০ জুন) সকাল ১০ টায় সংগঠনের সভাপতি মোশারফ সরকার সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন। এসময় মাওনা চৌরাস্তার ব্যবসায়ীরাও সামাজিক দূরত্ব মেনে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাওনা চৌরাস্তা ব্যবসায়ী মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোশারফ সরকার বলেন, স্থানীয় সরকারদলীয় কর্মী ও সমর্থক জুয়েল মাহমুদ আসিফ, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ও ফরহাদ শেখের নেতৃত্বে মাওনা চৌরাস্তার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনা জানতে পেরে তিনি ব্যবসায়ীদেরকে কারো কাছে কোনো প্রকার চাঁদা দিতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরা গত ৮ জুন মাওনা চৌরাস্তায় ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মোশারফ সরকারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। মানববন্ধনে তারা মোশারফ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে প্রদান করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসুবকের বিভিন্ন আইডি থেকে মোশারফ সরকারকে জড়িয়ে আপত্তিকর স্ট্যাটাস পোস্ট দেয়। এঘটনায় ব্যবসায়ী নেতা গত ১৩ জুন অভিযুক্ত তিন জনের নাম উল্লেখ করে শ্রীপুর থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এসব ঘটনায় মোশারফ সরকার তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেয় ‘যাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তারা চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কিভাবে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে’। পরে অভিযুক্ত জুয়েল মাহমুদ আসিফ ও ফরহাদ শেখ বাদী হয়ে একইদিনে ব্যবসায়ী নেতার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে শ্রীপুর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। লিখিত বক্তব্যে মোশারফ সরকার আরো বলেন, মাওনা চৌরাস্তা ট্র্রাকস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজির ঘটনায় বাংলাদেশ ট্রাক স্ট্যান্ড কাভার্ড ভ্যান ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতি মাওনা শাখার সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে (২০১৯ সালের ১০ জুলাই) ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনকে আসামীকে করে শ্রীপুর থানায় একটি চাঁদাবাজি অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ জুয়েল মাহমুদ আসিফ, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ও ফরহাদ শেখের মদদপুষ্ট দুইু চাঁদাবাজ রাব্বি ও আনোয়ারকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে তাদের সহযোগী রিপন ও সিরাজকেও গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়। তারা বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছেন। পুনরায় অভিযুক্তদের অনুসারী পরিবহনে চাঁদাবাজি করার সময় গত ৬ জুন মাসুদ রানা, জাকির ও সোলায়মানকে গ্রেফতার করে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়। অভিযুক্তদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আলোকিত প্রতিদিন/২০ জুন’২০/এসএএইচ