::নিজস্ব প্রতিবেদক ::
করোনাভাইরাস মহামারীতে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অক্সিজেনসহ পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ, মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও এসবের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের উকিল নোটিস দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিংকন বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য সচিব, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন-বিএসটিআইর মহাপরিচালকের ইমেইলে নোটিসটি পাঠিয়েছেন।
পরে তিনি বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্য করছি সিন্ডিকেট করে ওষুধের দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিই নয় অনেক ক্ষেত্রে মানহীন অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বাজারে সরবরাহ করছে। এতে করোনায় আক্রান্ত রোগীরা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।’ তিনি বলেন, ‘এই ভাইরাস মোকাবেলায় সবাই যেখানে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে মুনাফাখোর সিন্ডিকেট, অসাধু ব্যবসায়ীদের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এভাবে চলতে পারে না। এই মুহূর্তে এসব নিয়ন্ত্রণ বা বন্ধ করা দরকার। তাই পাঁচ কর্ম দিবসের সময় বেধে দিয়ে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিস দিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্টরা যথাযথ উদ্যোগ না নিলে বা নোটিসের যথাযথ জবাব না পেলে জনস্বার্থে আইনগত ব্যবস্থা নিব।’
নোটিসে বলা হয়েছে, ‘বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা ইদানিং লক্ষ্য করছি করোনা চিকিৎসার জন্য বহুল ব্যবহৃত মেডিকেল অক্সিজেন এবং এ সংক্রান্ত ওষুধের বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। করোনা মহামারী রোধে সরকারের সার্বিক প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও একশ্রেণির মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ী তাদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এই দুর্যোগের সময়েও ওষুধের বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে। ফলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রকৃত দামের থেকে অনেক বেশি দামে ওষুধ কিনতে হচ্ছে, যা করোনায় বিপর্যস্ত মানুষদের আরো বেশি বিপর্যস্ত করে তুলেছে। ফলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’