কক্সবাজারে রেড জোন চিহ্নিত করে ফের লকডাউন

0
437

:: প্রতিনিধি, কক্সবাজার::  

করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় দেশের প্রধান পর্যটন শহর কক্সবাজার পৌরসভাসহ জেলার কয়েকটি এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।  আর সেসব এলাকায় আগামী দুই সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসক।  রেড জোন ঘোষিত এলাকা থেকে কোন লোক বাইরে যেতে পারবেন না, আবার প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রয়োজনে লকডাউনের সময় আরো বাড়তে পারে বলে আভাস।

 বৃহষ্পতিবার কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত এলাকাগুলো সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ থাকবে। লকডাউন থাকাকালে প্রয়োজনে এসব এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষকে সরকারিভাবে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মাত্রা কমাতে এমন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জরুরি কাজের সাথে জড়িতরা রেড জোনে সীমিত আকারে আসা যাওয়া করতে পারবেন।’

সূত্র জানায়, কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে শুধুমাত্র ১ নম্বর ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডকে ‘ইয়োলো জোন’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর বাইরে ১০টি ওয়ার্ডকে অতিমাত্রায় করোনা সংক্রমণের ‘রেড জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থানে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে কমিটি থাকবে। কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলরগণ কমিটির প্রধান হবেন। প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে যুবক, ছাত্র, সমাজকর্মী নিয়ে একটি করে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা হবে। কমিটিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনীর সদস্য, পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধিরা থাকবেন। তারা সার্বিক সহযোগিতা করবেন এলাকাবাসীকে। যে দুটি ওয়ার্ড ইয়েলো জোন হিসেবে চিহ্নিত সেখানেও সবকিছু চলবে সীমিত পরিসরে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে সকলকে। কক্সবাজার পৌরসভায় কোন ওয়ার্ডকে ‘গ্রীণ জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়নি বলে জানান জেলা প্রশাসক।

করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যার ভিত্তিতে কক্সবাজার জেলাকে তিনটি জোনে বিভক্ত করা হয়েছে। জেলার আটটি উপজেলাকে ইউনিয়নভিত্তিক ও চারটি পৌরসভায় ওয়ার্ড ভিত্তিক বিন্যাস করে ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলায় এ পর্যন্ত ৮৮৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১৬ জন। ৩৪ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প রয়েছে ঝুঁকিতে। ইতিমধ্যে একজন রোহিঙ্গা মারা গেছেন, ৩০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here