সংবাদদাতা,গাইবান্ধা: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধির ফলে বন্ধ নৌ-রুটগুলো ফের সচল হওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে গাইবান্ধার ফুলছড়ির চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষের। স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে আন্তঃজেলা ও অভ্যন্তরীণ নৌ-রুটে ইঞ্জিনচালিত নৌকা। বর্ষা মৌসুমে নৌকায় যাতায়াত সহজ হলেও নভেম্বর মাসের পর পানি শুকিয়ে গেলে নদীর বুকে জেগে ওঠে ধু-ধু বালুচর। তখন বাজার-ঘাট, লেখাপড়াসহ প্রয়োজনীয় কাজ করতে চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হয় অসুস্থ রোগীদের নিয়ে। মাইলের পর মাইল হেঁটে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়। পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন জেলার সঙ্গে বাণিজ্যিক নৌ চলাচল। মূল ভূখন্ড থেকে ব্রহ্মপুত্র নদবেষ্টিত ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি, ফজলুপুর ও ফুলছড়ি ইউনিয়ন একেবারে বিচ্ছিন্ন। এ তিন ইউনিয়ন একেবারেই দুর্গম চরাঞ্চল। অবশিষ্ট গজারিয়া, উড়িয়া ও কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নেরও কিছু অংশ চরাঞ্চল। এ উপজেলায় দুই লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। এর মধ্যে চরাঞ্চলেই অর্ধেকের বেশি মানুষ বাস করে।
জানা গেছে, গত কয়েকদিনের বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফুলছড়ি-বালাসী, গজারিয়া-গলনা, হাজিরহাট-ফজলুপুর, সিংড়িয়া-ঝানঝাইর, গুনভরি-কালাসোনা এবং আন্তঃজেলা নৌ-রুট ফুলছড়ি ঘাট-গুঠাইল, বালাসীঘাট- বাহাদুরাবাদ, সৈয়দপুর-রাজীবপুর, তিস্তামুখ ঘাট-আমতলী, তিস্তামুখ ঘাট- সারিয়াকান্দিসহ ছোট-বড় আরও ১৫টি নৌ-রুটে যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌ-যান চলাচল শুরু হয়েছে। তিস্তামুখ ঘাট ও বাহাদুরাবাদ ঘাট নৌরুটে চলাচলকারী নৌকার মাঝি আমিরুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরে ব্রহ্মপুত্রে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পণ্যবোঝাই যাত্রী নিয়ে স্বাভাবিকভাবে নৌকা চলাচল করতে পারছি।
এ বিষয়ে ফুলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মন্ডল বলেন, পানি বৃদ্ধির ফলে ফজলুপুর, ফুলছড়ি, গজারিয়া ও এরেন্ডাবাড়ীর আন্তঃ ইউনিয়ন রুটের সবক’টি নৌ-রুট চালু হয়েছে। ফলে চরাঞ্চলের মানুষসহ ব্যবসায়ীদের এখন আর দুর্ভোগে পড়তে হবে না। অল্প সময়ে নদী পারাপার হতে পারবেন। শুকনো মৌসুমে এ মানুষগুলোই মাইলের পর মাইল বালুচর হেঁটে যাতায়াত করতেন।
আলোকিত প্রতিদিন /৩ জুন ‘২০/এসএএইচ