সংবাদদাতা,চট্টগ্রাম: চট্রগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান করোনা (কভিড -১৯) ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে । চট্টগ্রামে এই প্রথমবারের মত কোন ইউএনও আক্রান্ত হলেন।
আজ মঙ্গলবার (২ জুন) রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এসময় তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে জ্বর ও সর্দি দেখা দেওয়ার পর তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেখানে সোমবার (১ জুন) দিনগত রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ এসেছে। বর্তমানে তিনি উপজেলার সরকারি বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
এদিকে ইউএনও সরকারি কোয়াটারের বাসায় আইসোলেশনে থেকে সেখান থেকেই অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এখনো তার স্থলে নতুন কাউকে ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঈদের পর করোনা সংক্রমণরোধে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন কাজে মানুষের সংস্পর্শে যেতে হয়েছে। কয়েকদিন ধরে গলায় কিছুটা খুসখুসে কাশি, জ্বর ও সর্দি দেখা দেওয়ার পর নিজ থেকেই আইসোলেশনে চলে আসি। এরপর সন্দেহ দূর করতে নমুনা দিয়েছিলাম। সোমবার (১ জুন) রাতে রিপোর্টে পজিটিভ এসেছে। এখন উপজেলার সরকারি কোয়াটারের বাসায় আইসোলেশনে আছি। আরো ১০ দিন পর দ্বিতীয় টেস্ট করালে বুঝতে পারব করোনা জয় করতে সক্ষম হলাম কিনা।
প্রসঙ্গত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান একজন সৎ ও সজ্জন ব্যক্তি। করোনাকালে তিনি কাজ দিয়ে রাঙ্গুনিয়াবাসীর মন জয় করেছে। তিনি সকাল-সন্ধ্যা-রাত অবধি কাজ করেছেন। যখনই কোনো করোনা রোগীর খবর পেয়েছেন সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে গেছেন। লকডাউন করেছেন করোনা আক্রান্ত রোগীর বাড়ি। তাদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন। সবসময় তাঁদের খোঁজখবর রেখেছেন।করোনা সংক্রমণরোধে উপজেলার হাটবাজার বন্ধসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর এই সাহসি কাজের জন্য রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় করোনা ততটা বিস্তার ঘটাতে পারেনি। তিনি সকলের কাছে তাঁর সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
আলোকিত প্রতিদিন/২ জুন ‘২০/এসএএইচ