সংবাদদাতা, গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় বর্ষা মৌসুম শুরু না হতেই, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে, নদীর তীরবর্তী সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। করোনায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরিভাবে নদীতে বালুর জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ করছে। এরপরও ভাঙ্গন থামানো যাচ্ছে না।
ভাঙ্গন আতঙ্কে ইতোমধ্যেই সহস্রাধিক পরিবার বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ভয়াবহ নদী ভাঙনের কবলে পরে প্রায় সর্বশান্ত হয়ে পরার উপক্রম হয়েছে দুই সহস্রাধিক জেলে সম্প্রদায়ের পরিবার ।
গতকাল (১ জুন) যমুনা নদীর ডান তীর বাঁধের সংস্কার কাজ এবং নতুন করে কোন সংস্কারের প্রয়োজন আছে কি না, সে বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুস শহিদ নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন।
ভাঙ্গনের বাস্তব চিত্রনীতি নির্ধারক মহলে প্রেরন পূর্বক ভাঙ্গন কবলিত এলাকা দক্ষিণ উল্যার মাঝিপাড়া ও আদর্শ গ্রামে নদীর দুরুত্ব ১৫০ মিটার অবস্থান হওয়ায় ওই স্থানে শ্রীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে স্থানীয় বসতবাড়ির লোকজনদের আশ্বস্ত করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোকলেছুর রহমান, ভরতখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সামছুল আজাদ শীতলসহ অন্যান্যরা।
আলোকিত প্রতিদিন/২ জুন ‘২০/এসএএইচ