::নিজস্ব প্রতিবেদক::
করোনাভাইরাসের প্রকোপে সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকা এমনিতেই থমকে আছে। এ অবস্থায় বাস মালিক ও শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে ভাড়া বৃদ্ধি করা হলে তা জনগণের জীবনযাত্রায় নতুন ভোগান্তি ও যন্ত্রণা যোগ করবে বলে জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-চট্টগ্রাম।
আজ শনিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, দীর্ঘদিন লকডাউনে থাকায় কর্মহীন মানুষ এমনিতেই আর্থিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সেখানে বর্ধিত হারে বাস ভাড়া আদায়ের অনুমতি দেওয়া হলে এটা হবে সড়কে ডাকাতির শামিল। কারণ বাস মালিক-শ্রমিকরা সরকার নির্ধারিত হারে ভাড়া আদায় না করে যাত্রীদের জিম্মি করে দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া আদায় করে থাকেন। সংকটকালে বাস ভাড়া বৃদ্ধির মতো সিদ্ধান্তে উপনীত না হতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বিআরটিএ’র প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-চট্টগ্রাম।
করোনা মহামহারীকালে প্রয়োজনে সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি সরবরাহ করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা যেতে পারে। দেশের ইতিহাসে দীর্ঘ ছুটিতে থাকায় কর্মহীন মানুষ ভয়াবহ আর্থিক সংকটে আছে। তাই অর্ধেক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহনগুলো বিদ্যমান ভাড়া আদায় করে পরিবহন সেবা চালু করতে পারে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিদাতারা হলেন- ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান।