মানিকগঞ্জ, প্রতিনিধি : পদ্মা-যমুনা নদীতে গত কয়েকদিন ধরে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ভাঙনের মুখে পড়েছে পাটুরিয়া ফেরিঘাট। ফলে ঘাটের চারটি পন্টুনের মধ্যে দুটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে করে দুটি পন্টুন দিয়ে ফেরিতে উঠানামা করছে যানবাহন ও যাত্রীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান জানান, ‘পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। বর্তমানে ২ ও ৩ নং পন্টুন দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন ফেরিতে উঠানামা করছে।’
‘ঘাটের ৪ ও ৫ নং পন্টুনটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ঘাট স্থানান্তরে কাজ চলছে, ফলে আর কিছু সময়ের মধ্যেই ঘাটগুলো চালু করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি‘।
তিনি আরো জানান, ফেরি বহরে ১৭টি ফেরির মধ্যে ১০ টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫টি রো-রো (বড়) ফেরি ও ৫টি ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি রয়েছে।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, ‘ইতোমধ্যে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ভাঙনরোধে ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।’
‘এছাড়াও, ভাঙনের মুখে পড়া অন্য পন্টুন দুটিকেও সড়িয়ে উঁচুস্থানে স্থাপন ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘ফেরি চলাচল সচল রাখতে পাটুরিয়াঘাটের সবকটি পন্টুনকে ব্যবহারের উপযোগী করার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আগামীকাল শনিবারের মধ্যে সবকছিু ঠিকঠাক হয়ে যাবে।’
ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফেরা মানুষের চাপ রয়েছে পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে। তবে যানবাহনের তেমন কোন চাপ পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে নেই। ফেরি পার হয়ে গাড়িগুলো অনায়াসে ঢাকায় ফিরে যাচ্ছে। আর যাত্রীরা পাটুরিয়া ফেরি ঘাট থেকে ভাড়ায় চালিত প্রাইভেটকার, মাইক্রো, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, লেগুনা করে ঢাকায় ফিরছেন যাত্রীরা। আবার প্রিয়জনের সাথে ঈদ শেষে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় ফিরছেন অনেকেই। গাদাগাদি করে করোনা ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা পাড়ি দেন অনেকে। প্রশাসন থেকে বার বার সতর্ক করা হলেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।
ঘাটে আসা কয়েকজন যাত্রী জানিয়েছেন, স্বাভাবিক সময়ের চাইতে কয়েকগুন বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ঢাকায় যাওয়ার ক্ষেত্রে। গণপরিবহন বন্ধ থাকার সুযোগটি ছোট যানবাহনের চালকরা কাজে লাগাচ্ছে। পাটুরিয়া থেকে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোতে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৫-৬ শত টাকা। তবে এসব দেখার জন্য প্রশাসনের কোন তৎপরতা নেই।
আলোকিত প্রতিদিন/২৯ মে ‘২০/এসএএইচ