সৈয়দ এনামুল হুদা : ওমানের মাসকটে থাকা মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার মহিদুল ইসলামের সহযোগিতা করলেন মানিকগঞ্জ -১ আসনের সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়। জানা যায়, ওমানের মাসকটে থাকা মহিদুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী কিছুদিন যাবৎ প্রশাসনিক এবং অর্থনৈতিক সংকটে ছিলেন। ফলে তিনারা এমপি দুর্জয়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সমাধানের ব্যাবস্থা করে দেন বলে দুর্জয়ের ফেসবুক সূত্রে জানা যায়। পাঠকদের সুবিধার জন্য বিসিবির পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের ফেসবুকের পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো :https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10163586333000613&id=861960612
কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে মহিদুল ইসলাম নামের একজনের একটি ম্যাসেজ পাই। তিনি ম্যাসেজে জানান, তার বাড়ি আমার নির্বাচনী আসনের দৌলতপুর থানায়। তিনি এবং তার সাথের কয়েকজন শ্রমিক ওমানের মাসকাটে নিদারুণ করুণ জীবন যাপন করছে। তার স্পনসর টাকা নিয়ে নিয়েছে পাসপোর্ট রিনিউ করার কথা বলে অথচ পাসপোর্ট রিনিউয়ের কোনো খবর নেই, গত দুই মাস কাজ না করতে পারায় তাদের হাতে অবশিষ্ট কোনো টাকাও নেই। খাবারের অভাবে এমনিতেই কষ্টের এই দুর্দিনে আবার তাদের মধ্যে করোনা রোগীও শনাক্ত হয়েছে।
ম্যাসেজটা পাওয়ার পরেই তাদের মানসিক অবস্থার কথা ভেবে খুব মন খারাপ হয়ে যায়। তাৎক্ষনিক তাদের সাথে যোগাযোগ করে ডিটেইলস জানতে চাই আর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ছবি তুলে পাঠাতে বলি।
আমাদের মন্ত্রী পরিষদের যে কয়জন সদস্যকে কোনো প্রয়োজনে নক করলে সবচেয়ে দ্রুত পজেটিভ ফিডব্যাক পাওয়া যায় মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম ভাই তাদেরই একজন। আজ পর্যন্ত কখনও এমন হয়নি যে কোনো প্রয়োজনে তাকে নক করেছি আর তিনি তার অবস্থান থেকে হাত বাড়িয়ে দেননি। সেই ভরসা থেকেই এবারও মানবিক আবেদন নিয়ে তার শরনাপন্ন হই, তাকে ঘটনাটি জানাই।
মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম ভাই দ্রুত সময়ের মধ্যেই ওমানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী তখনই মহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে তাৎক্ষনিক তার ও তার সঙ্গীদের জন্য খাবার পাঠানো হয়, সেইসাথে কিছু নগদ অর্থও দেয়া হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তা মহিদুল ইসলামের স্পন্সরের সাথে যোগাযোগ করে তার ভিসা রিনিউ সংক্রান্ত জটিলতা সমাধানের উদ্যোগও গ্রহণ করেন।
প্রবাসীরা আমাদের সম্পদ, আমাদের অর্থনীতির ভীত তাদের ঘামে অর্জিত রেমিটেন্সের উপর দাঁড়ানো। তাদের কারও জন্য সামান্য কিছু করতে পারাই মন আর দায়িত্ববোধের প্রশান্তি। আমরা তাদের জন্য যতোটুকু করতে পারবো তার অনেক বেশিই তারা বহু আগে থেকে আমাদের জন্য করে আসছেন।
সর্বোপরি এই করোনা মহামারীর ক্রান্তিকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও নির্দেশনা অনুযায়ী সবাই যে আত্মনিবেদন নিয়ে কাজ করছে তার প্রশংসা না করে পারিনা। মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম ভাইয়ের মতোন দায়িত্বশীল মানুষ যার নির্দেশনায় বিভিন্ন দেশে আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ সাধ্য অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছেন তাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। মানুষের সেবায় যে প্রশান্তি তা একবার কেউ পেলে সারাজীবন এই পথে নিবেদিত থাকবে বলেই বিশ্বাস করি। আর আমাদেরতো এই আলোর পথের দিশারি ও দিকপাল হিসেবে রয়েছেন সয়ং বঙ্গবন্ধু কন্যা, আমাদের জয় হবেই। ইনশা আল্লাহ ।
আলোকিত প্রতিদিন /২৯ মে ‘২০/এসএএইচ