আলী হোসেন,সাভার প্রতিনিধি: সাভার সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড দেওগাঁও এলাকার বাসীন্দা একাধিক মামলার আসামী চাঁদাবাজ মনিরের নারী কেলেঙ্কারীর কু-কীর্তি ফাঁস করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার এবং এলাকাবাসী।জানাগেছে,চাঁদাবাজ মনিরের নারী কেলেঙ্কারী শুধু নয় নিরহ মানুষকে অপহরণ,চাঁদাবাজি,হামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।গত একমাস পূর্বে সাভার নিউ মার্কেট থেকে দেওগাঁও পর্যন্ত যে সকল অটো রিক্সা চলাচল করে সে স্থান থেকে চাঁদাবাজি কালে হাতে নাতে সাভার মডেল থানা পুলিশ তাকে আটক করে।ভুক্তভোগী লিটন কস্তা জানান,মনিরের সাথে আমার এবং আমার পরিবারের ভালো সম্পর্ক ছিল।সে আমার বাড়িতে প্রতিদিন যাতায়াত করতো।সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মনির আমার স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে।এক পর্যায়ে আমি এবং আমার প্রতিবেশী কৃষ্ণ মল্লিক বিষয়টি বুঝতে পাড়ি।এই রমজানের মধ্যে মনির আমাদের বাড়িতে রাতে দাওয়াত খেতে আসে।দাওয়াদ খাওয়া শেষে আমি আমার রুমে এবং আমার স্ত্রী,কন্ন্যা অন্য একটি রুমে শোয়ে পড়ি।কিছু সময় যেতে আমার প্রতিবেশী কৃষ্ণ মল্লিক আমাকে ডাক দিয়ে বলে মনিরকে কিন্তু তোমার স্ত্রীর রুমে ডুকতে দেখেছি।এর পর আমি এবং আমার প্রতিবেশীসহ আরো অনেকে আমার স্ত্রী ও মনিরকে অপ্রতিকর অবস্থা দেখতে পাই।এক পর্যায়ে এলাকার লোকজন জোড়ো হতে থাকলে মনির পালিয়ে যায়।বিষয়টি আমি পর দিন সকালে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে অবগত করি।তারা আমাকে এ বিষয়ে একটি সুঠু সমাধান করে দিবে বলে আসস্থ করেন।এর পর থেকে মনির ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে আমাকে হুমকি দিতে থাকে।এত দিন পরেও আমি এর কোন সমাধান বা বিচার পাইনি।কৃষ্ণ মল্লিক বলেন,ঘটনার দিন মনিরকে হাতে নাতে ধরার কারনে আমাকে মনির ইন্দনে নিটনের স্ত্রী জনসমূক্ষে গায়ে হাত দিয়ে মারধর করে। পরে বিষয়টি আমি এলাকার স্থানিয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে অবগত করি।এর পর থেকে মনির আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে আসছে।এক পর্যায়ে কিছু দিন পূর্বে আমাকে আমার দোকান থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করে।এই ঘটনারও আমি কোন সমাধান ও বিচার পাইনি।এলাবাসী জানান,চাঁদাবাজ মনির এলাকায় একের পর এক বিভিন্ন অবৈধ,অসামাজিক,
অনৈতিক কর্মকাণ্ড ঘটিয়েই চলছে।তার বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে।তার বিরুদ্ধে যে কথা বলতে যায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা করতে আসে।আমরা এই সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ মনিরের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
এলাকার জনপ্রতিবিধিরা জানান,মনিরের বিরুদ্ধে এলাকায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে।ভুক্তভোগীদের তার বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেন তারা।গতকাল তার বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় এক অটো চালকের কাছে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
এঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার এস আই হামিদ বলেন,তদন্ত সাপেক্ষে মনির বিরুদ্ধে অনিত অভিযোগের সতত্তা থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন /২৯ মে ‘২০/এসএএইচ