::আবু সায়েম, কক্সবাজার::
করোনায় আক্রান্ত ভেবে পথে পড়ে থাকা বৃদ্ধের কাছে যাইনি কেউ। রোদের তপ্ততা জাগাতে পারেনি অসুস্থ ষাটোর্ধ্বকে। কয়েক ঘণ্টা এভাবেই পড়ে ছিলেন তিনি। ভয়ে উৎসুক জনতার ভিড়ও জমেনি আশেপাশে। পথের মধ্যে পড়ে থাকলেও থামেনি গাড়ি, পাশ কাটিয়ে চলে গিয়েছে সব। জাগেনি মানবতার স্পন্দন। এমনই যখন পরিস্থিতি, তখন কক্সবাজার মডেল থানার এসআই আরিফ উল্লাহ কর্তব্যপালনে ওপথ ধরেই যাচ্ছিলেন। কলাতলী রোডের সুগন্ধা বীচ পয়েন্টে বৃদ্ধকে পড়ে থাকতে দেখে ছুটে যান তার কাছে। মমতায় তুলে নেন তাকে। চিকিৎসার জন্য সুব্যবস্থাও করেন। এমন ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই স্যালুট জানিয়েছেন এসআই আরিফসহ কক্সবাজার পুলিশ প্রশাসনকে।
পুলিশ সদরদপ্তরের তথ্যে জানা যায়, গত ৩ মে (রোবাবার) দুপুর পর্যন্ত ৮৫৪ জন পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। পরের দিন তা দিগুন বেড়ে যায়। আর তা ১২ মে সকাল পর্যন্ত এসে গিয়ে ঠেঁকে মোট ১৮৭৮ জনে। এরপর অতিবাহিত হয়েছে অর্ধমাস। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। এরপরও এসআই আরিফ উল্লাহ জীবনের তোয়াক্কা না করে একজন বৃদ্ধর পাশে এভাবে দাঁড়াতে দেখে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অনেকেই, জানিয়েছেন ভালোবাসা। সুশীল সমাজের সদস্য থেকে সবারই মুখে মুখে প্রশংসিত হয়েছে।
কক্সবাজারবাসী মনে করেন, এমন দায়িত্বশীল পুলিশ সদস্যরা নিশ্চয় দেশের অহঙ্কার, জাতির অহঙ্কার। এলাকাবাসী জানান, এমন আরও অনেক জনহিতকর কাজ করে যাচ্ছেন কক্সবাজার পুলিশ। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসাইন; বিপিএম( বার) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন) ইকবাল হোছাইন, সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আদিবুল ইসলাম এবং কক্সবাজার সদর মডেলথানার ওসি সৈয়দ আবু মোহা. শাহজাহান কবিরসহ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে নানাধরণের সেবামুখী এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, দেশের সেবায় আমরা সর্বদা নিয়জিত। মানুষের কল্যাণে, মানুষের বন্ধু হতেই আমাদের এই পেশায় যোগদান। আমরা প্রশংসার জন্য নয়, মানুষের পাশে বন্ধু হয়েই সব সময় থাকতে চাই।’ এইআই আরিফ উল্লাহ আমাদের গর্বকে আরও গর্বিত করেছে।’