আলোকিত প্রতিদিনে প্রকাশিত ‘প্রকৌশলী আসাদের হরিলুটনামা’র আসাদ চাকুরিচ্যুত : শুরুতেই কঠোর মেয়র তাপস

0
1322
মো. আসাদুজ্জামান ও ইউসুফ আলী সরদার

::মেহেদী হাসান::
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ওপর নজর ঘোরায় আলোকিত প্রতিদিন। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি চলে নিরীক্ষা- কোথায় কী ঘটছে? ঠিকাদারদের চলন-বলন ও ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য সোজা নির্দেশ করে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিনসহ কয়েকজনের দুর্নীতির দিকে। এবার আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য কাজ চলতে থাকে। ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখ নাগাদ প্রমাণ মিলে যায়। ১৫ তারিখ প্রকাশ হয় প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়। শিরোনাম ছিল, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন : অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর হরিলুটনামা’। সেই আসাদুজ্জামানসহ দুই জনকে চাকুরিচ্যুত করলেন মেয়র ব্যরিস্টার ফজলে নূর তাপস।
আজ রোববার (১৭ মে) সন্ধ্যায় ডিএসসিসির নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব আকরামুজ্জামান অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদারের চাকুরিচ্যুতির বিষয় নিশ্চিৎ করেন। তিনি বলেন, ‘ওনাদের দুজনকে টারমিনেশন করা হয়েছে। চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশন আইন মোতাবেক, করপোরেশন যদি মনে করে যে কাউকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া দরকার, সেক্ষেত্রে তিন মাসের বেতন দিয়ে তাকে বিদায় করে দিতে পারে। এ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আলোকিত প্রতিদিনে প্রকাশিত সেই সংবাদ

চাকরিচ্যুত এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্য, প্রকল্প শেষের আগেই টাকা উত্তোলনসহ দুর্নীতির নানা অভিযোগ ছিল। এবিষয়ে দৈনিক আলোকিত প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর এই প্রতিবেদককে নানা হুমকি ধামকিও দিয়ে আসছিলেন ওই প্রকৌশলী আসাদ। এতে কাজ না হলে প্রতিবাদ ছাপানোর জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে পত্রিকা কার্যলয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তারপরও কাজ না হওয়ায় দেখে নেবেন বলেও হুমকি দেন তিনি।
প্রকাশিত সেই সংবাদের বাকি অংশ

সংবাদ প্রকাশকালে প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমানকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জ্মানের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তুলে ধরে জানতে চাইলে তিনি তা এড়িয়ে গিয়ে আলোকিত প্রতিদিনকে বলেন, ‘টেলিফোনে তো আর সব বলা যায় না। তবে এমন কোন কিছু যদি ঘটে থাকে তাহলে তা খতিয়ে দেখতে হবে। খতিয়ে দেখা যাবে।’
ডিএসসির সচিব (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল মজুমদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়ের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। কাজ শেষের আগে টাকা ‍উত্তোলন প্রসঙ্গে উত্তম বলেন, ‘ফাইলপত্র না দেখে বলা মুশকিল।’
চাকুরিচ্যুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শুনেছি আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তবে কি অভিযোগে করা হয়েছে তা জানি না।’ আর চাকরিচ্যুত ইউসুফ আলী সরদার বলেন, ‘আমি এখনো বিষয়টি জানি না। তবে কর্পোরেশন যা ভালো মনে করে করতে পারে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here