শেকলবন্দি পৃথিবী আমার। দলছুট হয়ে আছে মানুষ। বাড়িতে বাড়িতে বন্দিদশায় বেঁধে আছে মন। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে যদিও প্রয়োজন মানছে না বাধা। কবিমনে ঢেউতরঙ্গে ভাসছে শব্দরা- কবিতার কথায়, কলমের জবানে। থেমে নেই আশা জাগানিয়া কবি ক্যামেলিয়া আহমেদ। লিখেছেন ‘বোধের চোখে বুকে যে আগুন জ্বলছে আজ, তা/নেভানোর কোন জল, কিংবা/ফায়ার এক্সটিংগুসার নেই মানুষের হাতে…’। সত্যিই তাই, কিন্তু থেমে থাকবে কি এই কবির জন্ম শুভলগ্নের স্মৃতি। নিশ্চয় নাড়া দেবে, সাড়া জাগাবেই। সাড়া জাগিয়েছেও তার কবিতার ভক্তকূলকে।
অন্যধারা সাহিত্য সংসদের নির্বাহী চেয়ারম্যান, কবি ক্যামিলিয়া আহমেদ কবিতায় কথা বলেন উপমা-অলঙ্করণে, মেতে ওঠেন চিত্রকল্পে। তার শব্দরা রেগে ওঠে, আবার নমনীয় হয়ে জাগায় ভালোবাসা; গেয়ে ওঠে জীবনের জয়গান। তেমনই সাংগাঠনিক দায়িত্বপালনেও তিনি সফল। সফল মা, সফল স্ত্রী। এই কবিকে আন্তরিক অভিনন্দন।তিনি তার মাকে নিয়ে লেখা ‘সে আমার মা’ কবিতায় লিখেছেন, ‘মনের কাঁদামাটিতে লেপটে আছে যে মুখ/পাঁজরে আকঁড়ে ধরি যে পাঁজর/হারাতে যাকে এতো ভয়, এতো ক্ষয়…’।
শীতের গোলাপখ্যাত নামের অধিশ্বর কবি ক্যামেলিয়া আহমেদের মনও সর্বদা শুভ্র। তিনি হতে চেয়েছেন নদী। ‘যদি নদী হতাম’ কবিতায় লিখেছেন, ‘সোনামাখা রোদ আমায় করে না ঝলমল/হয় না চাঁদের সাথে আলিঙ্গন/শুধু তৃষ্ণা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি তীরে, নিঃশব্দে।’
কবির কাব্যিক জীবন আরও দীর্ঘায়িত হোক। আনন্দ, সুখ-সাচ্ছন্দ বরাবরের মত সঙ্গে জড়িয়ে থাকুক সারাক্ষণ। আজ এই মধুর ক্ষণে তার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।