মামলার তোয়াক্কা না করা সেই রায়হানের স্বীকারোক্তি

0
532
আটক রায়হান

::নিজস্ব প্রতিবেদক::
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এসে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও ট্রলের মাধ্যমে বিভিন্নজনকে অপদস্থ করা রায়হান নামে সেই যুবক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ফেসবুকে হঠাৎ করেই ভাইরাল হওয়া নাম ‘রায়হান ভাই’ ওরফে রায়হান আলম। ফেসবুকে লাইভে এসে ধূমপান, উগ্র আচরণ, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন ও বিভিন্ন জনের নামে অশালীন কথাবার্তা বলে দ্রুতই ভাইরাল হন ২৫ বছর বয়সের এ যুবক।
ফেসবুকভিত্তিক বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপে এ নিয়ে আলোচনা উঠলে বিষয়টি নজরে আসে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার টিমের। এ নিয়ে তাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হলেও থামেননি রায়হান। উল্টো পুলিশ, র‌্যাব নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন লাইভে এসে। হুমকি দেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোক্তাদেরও। সামাজিকভাবে তাদের হেয় করার কথাও জানান রায়হান।
সবশেষ রোববার (১০ মে) লাইভে এসে রায়হান বলেন, আরে মামলা কী জিনিস এইডাই আমার ডিকশনারিতে নেই। পুলিশ-র‌্যাব আমি ভয় পাই নাকি?
শুধু এসবই নয়, অভিযোগ আছে নারীদের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইলিং করার মতো গুরুতর অপরাধের সঙ্গে যুক্ত এ রায়হান। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে সোমবার (১১ মে) ভোরে রায়হানকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
এরপর তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তাই আইনে একটি মামলা করা হয়। আজ সেই মামলায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রায়হানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জানা যায়, রায়হান (২৫) কোনো একটি কলেজে বিবিএস কোর্সে পড়াশোনা করেছেন। তবে বর্তমানে কিছুই করেন না। পশ্চিম শেওড়াপাড়ার বাসায় পরিবারের সঙ্গেই বসবাস করেন তিনি।
র‌্যাব জানায়, রায়হানের ব্যবহৃত মোবাইল ও কম্পিউটার থেকে বিপুল সংখ্যক ছবি, অশ্লীল ভিডিও, নারীদের সঙ্গে আপত্তিকর চ্যাটের স্ক্রিনশট উদ্ধার করা হয়েছে। যা দিয়ে বিভিন্ন সময় নারীদের ব্ল্যাকমেলিং করেছেন এবং ভবিষ্যতে ব্ল্যাকমেলিংয়ের জন্য এসব সংরক্ষণ করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here