[তাসফিয়া হক ঐশ্বর্য্য। পাঁচ বছরের শিশু। এ বয়সেই মনে তার ছন্দ ভর করে, দোলা দিয়ে উঠে নাড়িয়ে তোলে। দৌড়ে এসে মাকে জড়িয়ে ধরে বলে ‘ছড়া বলবো।’ বলেই শুরু করে দেয় মনের কথা। প্রথম দিকে মা আমলে না নিলেও পরে আবিষ্কার করলেন- চমৎকার ছড়া কাটে তার কন্যা। এরপর থেকে মেয়েকে দৌড়ে আসতে দেখলেই মুঠোফোন-রেকর্ডার চালু রেখে দেন। রেকর্ড করে পরে ডায়েরিতে তুলে রাখেন। আবার কখনো কাগজেই লিখে নেন।
লেখাগুলোকে ছড়া বলাই যেতে পারে, কিন্তু আমি এর নাম দিলাম ‘ছন্দকথা’। শব্দটি আমাকে দোলায়িত করে বলে তা আজ থেকে ঐশ্বর্য্যকে দিলাম।
তাসফিয়া হক ঐশ্বর্য্যর জন্য আমার আন্তরিক অভিনন্দন। তার মধ্যে এই বয়সেই দোলায়িত ছন্দরা আমাকে অভিভূত করেছে। বরেণ্য কবি উঁকি দিচ্ছে তার মাঝে- এটা স্পষ্ট। এই প্রতিভা বাধাগ্রস্থ না হলে আগামীর ঐশ্বর্য্যময় কবি পেতে চলেছে বাংলাসাহিত্য। হতে পারে- বিশ্বকে নাড়িয়ে তুলবে মেয়েটি।
ধন্যবাদ সেই মা, সরকারি কেএমএইচ কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান, সহকারী অধ্যাপক ফারহানা ইয়াসমিনকে, যিনি শিশুর এই প্রতিভাকে আবিষ্কার করেছেন এবং ধরে রাখতে সহযোগিতা করে চলেছেন নিরালসভাবে। ধন্যবাদ সেই বাবা, সরকারি এমএম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হামিদুল হক শাহীনকে, যিনি এই প্রতিভাকে মূল্যায়ন করেছেন আন্তরিক ভাবে। বর্তমান সময়ে কবিতার প্রতি সন্তানকে উৎসাহিত করা বাবা-মা খুবই বিরল। এমন একটি প্রতিভা বিনষ্টের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
তাসফিয়া হক ঐশ্বর্য্য-এর কলমের জবান উন্মুক্ত ও শক্তিশালী হোক। শব্দরা কথা বলুক। বলতে থাকুক। এগিয়ে যাক।
– সৈয়দ আহসান কবীর, সাহিত্য সম্পাদক, আলোকিত প্রতিদিন]
করোনা রে করোনা
জ্বলে পুড়ে মরো না!
তোমার জালায় কষ্ট
জীবন হলো নষ্ট।
এবার একটু থাম না
ক্লান্ত তোমার লাগে না?
এবার একটু বিশ্রাম নাও
আমাদের মুক্তি দাও।
গুড বাই হ্যালো হাই
নাম তার নানা ভাই
সারাদিন খায় দায়
শুয়ে শুয়ে মোটা হয়
এই আমার নানা ভাই।
টুনটুনি পাখি ভাই
সারাদিন উড়ে বেড়ায়
শুধু রাতেই বিশ্রাম নেয়
যে কোন গাছে বাসা বানায়
গাছে গাছে ডিম দেয়
বিদায় টুনটুনি ভাই।
হিল হিল হিল
ঝিল ঝিল ঝিল
পাজামাটা ঢিল
ঐশ্বর্য্য তাই দেখে
হাসে খিল খিল।