:: নিজস্ব প্রতিবেদক::
মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে একই দিন ঢাকায় নিযুক্ত সাত দেশের কূটনীতিকের বিবৃতি দেওয়ার কড়া সমালাচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘কোনো দিন কোনো দেশের রাষ্ট্রদূতদের জটলা করে একটা বিবৃতি দিতে কখনো দেখিনি। অন্যান্য দেশেও এমন করে জটলা করে বিবৃতি দেওয়ার রীতি নাই। এটা খুবই দুঃখজনক। আমি খুবই খুশি হতাম এ রাষ্ট্রদূতরা জটলা পাকিয়ে যদি বলতেন, আপনার এই মুহূর্তে রাখাইনে যুদ্ধ হচ্ছে এটা বন্ধ করা উচিত। এটা কোনো কূটনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না।’
মানবাধিকারকর্মী, কার্টুনিস্ট, ব্যবসায়ীসহ চারজনকে আটকের পর মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার প্রেক্ষাপটে সাত রাষ্ট্রদূত পৃথক বিবৃতি দেন।
বৃহস্পতিবার নিজেদের টুইটারে আলাদাভাবে ওই বিবৃতি দেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনসে তেরিঙ্ক, যুক্তরাষ্ট্রের আর্ল রবার্ট মিলার, যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত রবার্ট ডিকসন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভেরওয়েজ, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শার্লোটা স্লাইটার এবং ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসন।
বিবৃতির দুই দিনের মাথায় এর প্রতিবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘তাদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে তারা তা আমাদের জানাতে পারতেন প্রটোকল মেনে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাতে পারতেন। কিন্তু তা না করে তারা রাজনীতির মহড়ায় চলে গেছেন। তারা পাবলিক স্টেটমেন্ট দিচ্ছেন। তারা কি এদেশে রাজনীতি করবেন? এ দেশে নির্বাচন করবেন নাকি?’
তিনি আরও বলেন, ‘এগুলোর মতলব সুবিধার না। আমি আশা করব তারা তাদের প্রটোকল মানবেন এবং সেইভাবেই তারা কাজ করবেন। তারা জ্ঞানী গুণীজন, তারা জানেন, বুঝেন, তাদের এ ধরনের ব্যবহার প্রত্যাশিত নয়।’
কূটনীতিকদের জটলা করে বিবৃতি শিষ্টাচার বহির্ভূত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
-Advertisement-
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -