::নিজস্ব প্রতিবেদক::
করোনাভাইরাস সংক্রমণে গত দুই দিনে ২৮ জনের মৃত্যুর খবরের মধ্যে ঢাকামুখো জনঢল দেখা গেছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে। বৃহস্পতিবারের এ ভিড়ভাট্টা দেখে স্থানীয়রা বলছেন-গার্মেন্টস কর্মীরা ঢাকার ফেরার সময়ের চাইতে বেশি লোকারণ্য ছিল এ দিন ঘাট এলাকা। ফেরি ঘাট আর রিকশা, আটো স্ট্যান্ডের ভিড় তাদের ঈদের ভিড়ের কথা মনে করিয়ে দেয়।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান, সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল দেখা গেছে। গার্মেন্টস কর্মীদের ঢাকামুখী সময়কেও হার মানিয়েছে বৃহস্পতিবার যাত্রীর চাপ। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এখন ছুটছে ঢাকার কর্মস্থলে। যেন ঈদ শুরু হয়ে গেছে। করোনার কোনো ভয় নেই তাদের মাঝে। মনে হচ্ছিল ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে তারা ছুটছে স্বজনদের কাছে।
সরকার মার্কেট খুলে দেবার ঘোষণায় এসব যাত্রীরা দক্ষিণবঙ্গ থেকে লকডাউন ভেঙে ঢাকামুখী হতে শুরু করেছে। প্রতিটি ফেরিতেই শত শত লোককে শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে আসতে দেখা যায়। বাস না থাকায় অটো স্ট্যান্ডগুলোয় যাত্রীরা ঢাকা যাবার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়তে দেখা গেছে। গত ১০ দিনের মত বৃহস্পতিবারও আটো, টেম্পো, নসিমন, করিমন, মাইক্রো, থ্রি হুইলার, ইয়েলোক্যাব, রেন্ট এ কার এবং শত শত মোটরসাইকেলে এসব যাত্রীদের ঢাকায় ফিরতে দেখা গেছে। তবে এ পথে ঢাকায় যেতে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে কয়েকজন যাত্রী।
মাওয়া ট্রাফিক জোনের টিআই হিলাল উদ্দিন জানান, সকাল থেকেই ঢাকামূখী যাত্রীর চাপ। ঘাটে বাস না থাকলেও অসংখ্য উবার ও পাঠাও-এর মোটরসাইকেল আর গাড়ি যাত্রীদের ঢাকা নিচ্ছিল। তবে তা অফ লাইনে চলেছে। সেই সাথে নসিমন, করিমন, টেম্পো, অটো, ইয়েলোক্যাবসহ নানা ধরণের যানবাহনে যাত্রীরা ভেঙে ভেঙে বিকল্প পথে ঢাকা গিয়েছে। করোনা কী সেটা বুঝেও যেন বুঝছেনা এসব যাত্রী। ঠেলাঠেলি করে কার আগে কে যানবাহনে বসবে এ রকম প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়।
গত কয়েক দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যাত্রীদের ঢাকামুখী চাপ ছিল বেশি বলে জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটস্থ এজিএম শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, দিনের বেলায় ৪ থেকে ৫টি এবং রাতে ৭ থেকে ৮টি ফেরি চলাচল করছে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেশি দেখা গেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে যাত্রীর চাপ। ‘মনে হচ্ছে অনেকটা স্বাভাবিক হতে চলেছে মানুষের জীবন যাত্রা,’ যোগ করেন তিনি।
সীমিত আকারে গার্মেন্টস খোলার পর সম্প্রতি সরকার ঈদ উপলক্ষে সীমিত আকারে শপিং মল খোলার অনুমতি দেয়। তবে অন্যদিকে বিশ্বে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা আগের তুলনায় বাড়তে শুরু করেছে। এদিন সকাল পর্যন্ত সরকারি হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় ৭০৬ জন সহ দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার জনে; আর মৃত্যু হয়েছে ১৯৯ জনের।
থামছেই না ঢাকামুখী জনঢল
-Advertisement-
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -