আজ সোমবার, ২৫ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।   ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অপহৃতদের উদ্ধারে গিয়ে বন্দুকযুদ্ধ: টেকনাফে আহত ৫ পুলিশ, বিপুল গোলাবারুদসহ মাদক উদ্ধার

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

::আবু সায়েম, কক্সবাজার::

অপহৃতদের উদ্ধারে গিয়ে বন্দুকযুদ্ধে টেকনাফে তিন ডাকাত নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন পুলিশের ৫ সদস্য। এই অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, বুলেট, আইনশৃংখলা বাহিনীর পোশাক ও ইয়াবা উদ্ধার করেছে।
জানা যায়, আজ বুধবার (৬মে) ভোরে টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ নেতৃত্বে ও এসআই মশিউর রহমানসহ টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের বিরাট একটি দল উপজেলার হ্নীলা রঙ্গিখালী গাজী পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানা, মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের কেন্দ্রস্থলে অভিযানে গেলে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে পুলিশের এসআই লিয়াতক, মশিউর রহমান, এএসআই সনজিব দত্ত, মিথুন ভৌমিক ও সৈকত বড়ুয়া আহত হন। পরে পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে ঘটনাস্থলে তিন ডাকাতের লাশ পাওয়া যায়। কারখানায় তল্লাশী করে ৫টি একনলা বন্দুক, ২টি থ্রি-কোয়ার্টার বন্দুক, দেশীয় অস্ত্র ১০টি, ১টি বিদেশী পিস্তল, ১১রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ৮ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ২শ ৫রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৭২ রাউন্ড কার্তুজের খোসা, ৩সেট বিজিবি, ১০ সেট পুলিশের পোশাক ও ৫৬ হাজার ইয়াবাসহ রঙ্গিখালী মাদ্রাসা পাড়ার মৃত আব্দুল মজিদ ওরফে ভুলাইয়্যা বইদ্যের পুত্র নুরুল আলম (৪০), ছৈয়দ আলম (৩৫) ও শব্বির আহমদের পুত্র আব্দুল মোনাফ ওরফে মইন্যার (২০) কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে।
পরে আহত পুলিশ সদস্য এবং উদ্ধারকৃত সন্ত্রাসীদের চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে গুলিবিদ্ধ সন্ত্রাসীদের আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত স্বাপেক্ষে পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

- Advertisement -
- Advertisement -