পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

::নিজস্ব প্রতিবেদক::
রাজধানীর আদাবর থানার পুলিশের এক এএসআই (সহকারী উপ-পরিদর্শক) এর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত আফরিন আক্তার মুন্নির (২৮) পরিবারের দাবি স্বামী নজরুল ইসলাম রবিনে তাকে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে। সোমবার (৪ মে) সন্ধ্যায় আদাবরের নিজ বাসা থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহেদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশের দাবি, আলামত দেখে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে তাদের মনে হয়েছে।
আদাবর থানা পুলিশ জানায়, এএসআই নজরুল আদাবর থানার অদূরে একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে থাকেন। পারিবারিক কলহের কারণে সোমবার ৫টার দিকে ওই বাসার একটি ঘরে আফরিন গলায় ফাঁস দেন। খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
আফরিনের বাবা হাজী আবুল কালাম অভিযোগ করে বলেন, ‘নজরুলের সঙ্গে অন্য একটি মেয়ের সম্পর্ক রয়েছে। মোবাইলে আফরিন তা দেখে ফেলায় নজরুল তার স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়। গত দুই বছর ধরে এগুলো নিয়ে পারিবারিক কলহ চলছিল। নজরুল প্রায়ই আফরিনকে মারধর করতো। গত রবিবারও নজরুল বেধড়ক পিটিয়ে আফরিনকে বাসা থেকে বের করে দেয়। সে পুলিশ তার কিছুই হবে না বলেও হুমকি দেয়। আফরিনকে মেরে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে।’
আবুল কালামের দাবি, ‘ঘটনার পর আদাবর থানা পুলিশও বিষয়টি লুকানোর চেষ্টা করে। নজরুলের সহকর্মীরা বিষয়টি এখনও অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।’ তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে নজরুল ইসলাম রবিন জানান, তার বিরুদ্ধে যেই সব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
আদাবর থানার ওসি কাজী শাহেদুজ্জামান বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে এএসআই নজরুলের স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। পারিবারিক কলহের কারণে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। এরপরও তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’

- Advertisement -
- Advertisement -