:: আবু সায়েম, কক্সবাজার ::
রাস্তায় পড়ে থাকা ভবঘুরে, অনেকের কাছে পাগল বলে পরিচিত, তারা স্বাভাবিক সময়ে পথচারীদের কাছ থেকে যা পায় তাই খায়। কিন্তু লকডাউনে অনেকটাই অসহায় এখন। পথে নেই পথচারী। তাই খাবারের যোগারও নেই। আবার রাস্তায় যাদের বসবাস, তারাও পড়েছেন বিপাকে। এই সব অসহায়,পথশিশু, ছিন্নমূল, ভবঘুরের জন্য ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করে দিনের পর দিন বাস্তবাসয়ন করে চলেছে কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী হোটেল আল গণি। লকডাউনের কারণে যখন কক্সবাজারের সকল হোটেল-মোটেল জোনসহ সব ধরণের খাবার রেস্তোরাঁ বন্ধ, ঠিক তখনই মানবিক দিক বিবেচনায় এসব পথশিশু ছিন্নমূল অসহায় মানুষের পাশে দাড়িঁয়েছেন এই হোটেলকর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়. গত ২৪ মার্চ থেকে সরকার ঘোষিত লকডাউনে আল গণি কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন ৪০০ মানুষের জন্য শহরের বিভিন্ন অলিতে-গলিতে এসব অসহায় ছিন্নমূল, ভবঘুরে, পথশিশু সহ পাগলদের খাবার দিয়ে আসছেন। অনেকেই হোটেল আল গণি কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। সচেতন মহল মনে করেন, নিঃসন্দেহে হোটেল আল গণির এমন কার্যক্রম প্রশংসার দাবিদার। তাদের ব্যতিক্রমধর্মী এই উদ্যোগ নজিরবিহীন।
হোটেল আল গণির স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ রুবেল উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি আলোকিত প্রতিদিনের এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।অসহায়ত্বের মধ্যে মানুষ দিনপাতিত করছেন। অসহায় দরিদ্র মানুষরা কিন্তু সরকারি ত্রাণসহ বিভিন্ন সহযোগিতা পাচ্ছেন। অথচ যারা রাস্তায় থাকেন, যাদের কোন ঘরবাড়ি নেই, যারা ভবঘুরে এবং পাগল তাদের পাশে কেউ নেই। এজন্য আমি এসব মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। প্রতিদিন ৪০০ পথশিশু, ছিন্নমূল এবং ভবঘুরেসহ পাগলদের দুই বেলা খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে শহরের বিভিন্ন অলিতে-গলিতে গিয়ে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের মাওলানা, আলেম, মৌলভিদের জন্যও আলগণি কর্তৃপক্ষ বিশেষ সম্মাননা প্রদান করছে। ইনশাআল্লাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কক্সবাজারের হোটেল আল গণির মানুষের পাশে থাকবে।’
ভবঘুরেরাও বাদ পড়েনি হোটেল আল গণির সহযোগিতা থেকে, উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন কক্সবাজারবাসী
-Advertisement-
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -