:: সংবাদদাতা, জামালপুর ::
জামালপুরে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা একের পর এক নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় এ জেলার স্বাস্থ্যসেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সারা জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৪৬ জন রোগী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত ছয় জন চিকিৎসকসহ মোট ১৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত। এছাড়া অনেকেই হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। ফলে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
এ জেলার সাতটি উপজেলার সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে চারটি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, ফার্মাসিস্ট, ব্রাদার, ওয়ার্ড বয়, বাবুর্চি, আয়া, ড্রাইভার ও এমএলএসএস করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন জামালপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই হাসপাতালের দুজন চিকিৎসক, এক নার্স, দুই ওয়ার্ড বয়, একজন এমএলএসএস, একজন ব্রাদার ও একজন বাবুর্চি করোনায় আক্রান্ত। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মোট ৩০ জন চিকিৎসক এবং ১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক ডা. উত্তম কুমার সরকার। তিনি বলেন, হাসপাতালের যেসব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তার মধ্যে ৩০ জন চিকিৎসক এবং ১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী হোম কোয়ারেন্টিনে। কোয়ারেন্টিনে থাকা চিকিৎসকদের নমুনা পরীক্ষার পর রিপোর্টে যাদের নেগেটিভ এসেছে, তাদের মধ্যে ১০ জন চিকিৎসক রবিবার (২৬ এপ্রিল) যোগ দিয়েছেন। তিনি আরও জানান, প্রতিদিন হাসপাতালের আউটডোরে গড়ে ৬০০ রোগী চিকিৎসা নিতেন। এখন রোগী আসছেন মাত্র ৩০ জন। ইনডোরে ৫০০ রোগীর মধ্যে এখন ভর্তি আছেন মাত্র ৫৪ জন। সরকারি নির্দেশ মতো প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলার সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, সব হাসপাতালেই জরুরি ও স্বাভাবিক স্বাস্থ্যসেবা চালু রয়েছে। যেসব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। যারা আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসেনি, তাদের দিয়ে বর্তমানে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।