স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্প-কারখানা চালুর প্রস্তুতি

0
542

করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিয়েছে। স্থবির হয়ে পড়েছে আমদানি-রপ্তানি। এ অবস্থায় দেশের অর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। দুশ্চিন্তা বাড়ছে ব্যবসায়ীদের।

এ অবস্থায় শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্প কারখানা চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বেকারত্ব রোধ, দরিদ্রদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি ও অর্থনীতির ক্ষতি কমিয়ে আনতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

আজ বুধবার (২২ এপ্রিল) ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতারা বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

বৈশ্বিক মহামারির কারণে সারা বিশ্ব কার্যত লকডাউনে থাকায় আমদানি-রপ্তানিতে ধস নেমেছে। লকডাউনের কারণে রপ্তানি বন্ধ, ব্যাংক ঋণের ইন্টারেস্ট এবং ক্রয় আদেশ বাতিল হওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বিশেষ করে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পোশাক খাতের পণ্য, প্রসাধনী, মুদ্রণ শিল্প, চিকিৎসা সরঞ্জাম, কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশ, ইলেকট্রনিক পণ্য, প্লাস্টিক শিল্পসহ দেশের অভ্যন্তরীণ সব ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

করোনার প্রাদুর্ভাবে দেশের তৈরি পোশাকখাতের এক হাজার ১৪৪টি কারখানায় ৩ দশমিক ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রফতানি আদেশ বাতিল হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন কারখানার মালিক ও শ্রমিকরা। রফতানি আদেশ বাতিল হওয়া এসব কারখানায় ২২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করেন।

দেশের রপ্তানি খাতের সিংহভাগ তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরশীল। তাই এ খাতের নেতিবাচক প্রভাব পুরো রপ্তানি বাণিজ্যে আঘাত হানবে। তাই লকডাউনের মধ্যেও পোশাক কারখানা স্বল্প পরিসরে চালু রাখার দাবি উঠেছে। শারীরিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পোশাক কারখানা চালুর প্রস্তুতিও নিচ্ছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সিনিয়র সহ সভাপতি ফয়সাল সামাদ বলেন, এই মুহূর্তে আমরা ফ্যাক্টরিগুলোর প্রটোকল ঠিক করছি। এরপর এক্সপোর্টও করতে হবে। বায়াররা যেগুলো অর্ডার করেছে সেগুলো চাচ্ছে। তবে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আমরা ফ্যাক্টরি চালু করতে চাই। এক্ষেত্রে আমাদের ফ্যাক্টরিগুলো সার্ভে হচ্ছে। আমরা তথ্য পাচ্ছি। তড়িঘড়ি করার কোনো সুযোগ নেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here