লাইফস্টাইল ডেস্ক
বাঙালি রন্ধনশৈলীতে হলুদ একটি চমৎকার মশলা যা আমাদের নিত্যদিনের খাবারে ব্যবহার করা হয় । হলুদে আছে কারকিউমিনে অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য। এটি প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে,হলুদ ক্যান্সার এবং আলঝেইমার প্রতিরোধ করে । শুধু তাই নয়, আপনার খাদ্যতালিকায় হলুদ যোগ করলে হৃদরোগের ক্ষেত্রেও উপকার করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,হলুদ শীতকালে আসা সবধরনের রোগ থেকে রক্ষা করে। শীতকালে খাদ্যতালিকায় হলুদ যোগ করার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে।
মৌসুমী রোগ থেকে মুক্তি
হলুদ পৃথিবীতে পাওয়া একটি প্রাকৃতিক ঔষধি পদার্থ। সাধারণ ঠাণ্ডা সাইনাস, জয়েন্টের ব্যথা, বদহজম, সর্দি এবং কাশি থেকে মুক্তি দেয়। দ্রুত উপশমের জন্য দুধ ও চায়ে একচিমটি হলুদ মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন হলুদ খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
টক্সিন দূর করে
শীতকালে আমরা ভাই-বন্ধুরা মিলে মজার মজার খাবার খেতে পছন্দ করি।এসময় খাবারে প্রতি বেশি সতর্ক থাকা হয় না। ফলে স্বাস্থ্য খারাপ হয়।নিজের অজান্তেই শরীরে ট্যাক্সিন জমে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত হলুদ খান । দুধ, খাবার বা চায়ে হলুদ মিশিয়ে খেলে জমে থাকা টক্সিন দূর হতে পারে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
আমাদের দেশে সারা বছরই হলুদ পাওয়া যায়।হলুদ কেবল একটি ভাল মসলাই না,বরং একটি নিরাময়কারীও বটে।প্রতিদিন হলুদ খেলে রক্ত পাতলা হয়। ক্যান্সারের মতো বিপজ্জনক রোগের ঝুঁকি কমে।এছাড়াও হলুদ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দূর করে, গলা ব্যথা কমায়।
মৌসুমী ফ্লু দূরে রাখে
শীতের শুরলগ্নেই মৌসুমি ফ্লুর সূচনা হয়। ফ্লু থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই হলুদের ওষুধ ব্যবহার করেন। বেশিভাগ গর্ভবতী মহিলারা হালকা ফ্লুতে ভুগলে হলুদের দুধ পান করে উপকার পান।
আতারা