আজ শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।   ২০ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জোয়ারিয়ানালায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সভা অনুষ্ঠিত

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

আবু সায়েম 

কক্সবাজার  উত্তর   বন বিভাগের আওতাধীন রামু  উপজেলার  জোয়ারিয়ানালা   রেঞ্জের উদ্যোগে  কক্সবাজার  উত্তর  বন বিভাগের  সহযোগিতায়  বৃহস্পতিবার “মানুষ  – হাতি সংঘাত” নিরসন  শীর্ষক ও  বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ,সামুদ্রিক জীববৈচিত্র এবং বনসম্পদ রক্ষাকল্পে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত । জনসচেতনতামূলক  আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি  ছিলেন কক্সবাজার উত্তর     বন বিভাগের  ( ডিএফও)  মো. আনোয়ার হোসেন সরকার। জোয়ারিয়ানালার  রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ টিটুর শুভেচ্ছা বক্তৃতার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সহকারী বনসংরক্ষক  ডক্টর প্রান্তোষ চন্দ্র রায় এবং উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল সামসুদ্দীন প্রিন্স ।সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন ব্যাংডোবা বিটের বিট কর্মকর্তা জাকির হোসেন।

সভায় জোয়ারিয়ানালা রেঞ্জের ব্যাংডোবা বিটের দেড় শতাধিক নারী পুরুষ,স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ বন বিভাগের ফরেস্টারসহ  ভিলেজারগণ উপস্থিত ছিলেন। জনসচেতনতামূলক  সভায় বক্তারা মানুষ  হাতি সংঘাত নিরসন এবং বন্য প্রাণী  সংরক্ষণে  এলাকাবাসীকে এগিয়ে  আসার  আহ্বান করেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কক্সবাজার উত্তর   বন বিভাগের  বিভাগীয় বন  কর্মকর্তা  মো. আনোয়ার হোসেন সরকার  বলেন,  বন্যপ্রাণী  ও বন্যহাতি সংরক্ষণ  আমাদের  নৈতিক দায়িত্ব । নির্বিচারে বন্যপ্রাণী  হত্যা, ধরা এবং শিকার করা যাবে না । বন্যহাতিদের  আঘাত করে   নিধন  করলে প্রকৃতির ভারসাম্যে বিরাট প্রভাব  ফেলবে। তিনি আরো বলেন,  সামাজিকভাবে  সচেতন হয়ে আমাদের  মানুষ  ও হাতি সংঘাত নিরসন করে বন্যপ্রাণী ও হাতিদের বাঁচাতে এগিয়ে  এসে বন সম্পদ রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। বন্যহাতি লোকালয়ে চলে আসলে তিনি বন বিভাগকে অবগত করার অনুরোধ  জানান,  তবুও যেন হাতিকে আক্রমণ  করা না হয়।তিনি বলেন,  বন্যহাতি, বন্যপ্রাণী ,  বনজদ্রব্য, বনভূমি রক্ষার্থে বন বিভাগ সজাগ  রয়েছেন। মানুষ  ও হাতির সংঘাত  নিরসন এবং বনজসম্পদ, বন্যপ্রাণী রক্ষা   এবং বনভূমি জবরদখলের বিরুদ্ধে  অভিযান  পরিচালনা  করে  আইনানুগ ব্যবস্থা  গ্রহণ  করা  হবে।  সঠিক তথ্য দিয়ে  সহযোগিতা  করার অনুরোধও জানান  তিনি। সভাপতির বক্তব্যে  সহকারী বনসংরক্ষক ডক্টর প্রান্তোষ চন্দ্র রায়  বলেন,  বন বিভাগ বন্যহাতি সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা  পালন  করছে। বন্যহাতি কর্তৃক কারো প্রাণহানি ঘটলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাসহ স্থানীয় কোন ব্যক্তির ফসল নষ্ট করলেও ক্ষতিপূরণের বিধান আছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীকে সচেতন এবং ধৈর্য ও সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, সরকারি বনভূমি জবরদখলমুক্ত,  বন্যপ্রাণী, ও বন্যহাতিদের সংরক্ষণ   এবং বনজসম্পদ রক্ষায় সার্বিক সহযোগিতা  প্রদান করা হবে।জীব বৈচিত্র রক্ষার্থে যথাযথ সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

 

- Advertisement -

আতারা // এপি

- Advertisement -
- Advertisement -