আজ বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কুড়িগ্রামে তিস্তার তীব্রস্রোতের ভাঙ্গনে তিস্তা পাড়ের মানুষ হতবাক পাউবোর নেই পদক্ষেপ 

-Advertisement-

আরো খবর

প্রতিনিধি, উলিপুর(কুড়িগ্রাম):

কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তার তিব্রস্রতের ভাঙ্গনে তিস্তা পাড়ের মানুষ হতবাক পাউবোর কোন নেই পদক্ষেপ। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের অর্জুন ও থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াইপিয়ার, দালাল পাড়া, হোকডাঙ্গা ও ডাক্তার পাড়া গ্রামে তিব্র নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনের ব্যাবধানে তিব্র ভাঙ্গনের ফলে কয়েক’শ ঘরবাড়ি ও বসতভিটা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের হুমকির মুখে রয়েছে পাঁচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দুইটি কমিউনিটি ক্লিনিক, বাঁধের রাস্তা সহ গ্রামের কয়েক’শ বাড়ি। এ বছর বর্ষায় তিন দফায় তিস্তা নদীর তিব্র স্রোতের ভাঙ্গনের ফলে দলদলিয়া ইউনিয়নের অর্জুন এবং থেতরাই ইউনিয়নের গোরাইপিয়ার, হোকডাঙ্গা, দালাল পাড়া, পাকারমাথা, কুমার পাড়া গ্রামের প্রায় পাঁচ থেকে ছয় শত পরিবার বসতবাড়ী ও সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। তাদের মাথা গোজার জায়গা টুকুও নেই। কেউ কেউ খোলা আকাশের নিচে প্যান্ডেল সাজিয়ে কষ্টে রাত্রি যাপন করছেন। ইতোমধ্যে নদীতে বিলিন হয়েছে গোড়াইপিয়ার, হোকডাঙ্গা, দালাল পাড়া, হিন্দুপাড়া গ্রামের অধিকাংশ আবাদি জমি ও বসত ভিটে। এমনকি বৈদ্যুতিক খুটিও বিলিন হয়ে গেছে। পুল, সাঁকো কালভার্ট নদী ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে গেছে। বর্তমান নদী ভাঙ্গনে হুমকির মুখে আছে ডাক্তারপাড়া, হিন্দুপাড়া, মাঝিপাড়া, মন্ডলপাড়া, কুমারপাড়া, ঝাকুয়াপাড়া, মুলাধোয়ার পাড় ও ভারতপাড়া সহ সাত থেকে আটটি গ্রাম। তাছাড়া গোড়াই পিয়ার সরকারী প্রার্থমিক বিদ্যালয়, গোড়াই পিয়ার দাখিল মাদরাসা, হোকডাঙ্গা সরকারী প্রার্থমিক বিদ্যালয়, হোকডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিন চর হোকডাঙ্গা সরকারি প্রার্থমিক বিদ্যালয়, ২টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ৫টি মসজিদ, ২টি মন্দির সহ সাত থেকে আটটি গ্রামের শতাধিক পরিবার। দলদলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল কদের, সাহেব আলী কুটিয়াল, তোতা কুটিয়াল, শফিকুল ইসলাম, নাজমুন্নাহার, আব্দুচ্ছালাম, আব্দুল হাই বলেন নদী ভাঙ্গনে গ্রামটি অনেকাংশ বিলিন হয়ে গেছে। ইতিপূর্বে পাউবোর পদক্ষেপ জোড়ালো ছিলনা। যদি পাউবো জোড়ালো পদক্ষেপ নিত তাহলে আমরা অনেক বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতাম না। তারা বলেন পূর্বে পাউবো কিছু বস্তা দিয়েছেন বর্তমানে কোন পদক্ষেপ নেই। থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী জানান তিস্তার তীব্র স্রোতে এত ভাঙ্গন ইতিপূর্বে কখনও দেখিনি। গত কয়েক দিন থেকে গ্রামের মানষ জন নিয়ে ভাঙ্গন এলাকায় আছি। যখন যে বাড়ী ভাঙ্গনের মুখে পড়ে তখন সেটা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। তিনি বলেন আমি এবং আমার গ্রাম বাসীর পক্ষ থেকে পাউবো ও প্রশাসনের নিকট দৃষ্টি আকর্ষন করছি আমাদেরকে তিস্তার তীব্র স্রোতের ভাঙ্গন রোধ করার ব্যাবস্থা নিবেন। তিস্তা নদী রক্ষা কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম সরদার তিস্তা নদীর ভাঙ্গন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানান।”
আলোকিত প্রতিদিন/ ২২ আগস্ট ২০২১ / আর এম
- Advertisement -
- Advertisement -