আবু সায়েম,কক্সবাজারঃ কুতুবদিয়া থানাকে জনগণের সেবা কেন্দ্র এবং মডেল কুতুবদিয়া রুপান্তরে বদ্ধপরিকর দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার নবাগত ওসি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী। গত ১ জুলাই কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসাইন ( বিপিএম বার) অফিস স্বাক্ষরিত আদেশে চকরিয়া থানার ( তদন্ত) ওসি সফিকুল আলম চৌধুরীকে কুতুবদিয়া থানার ওসি হিসেবে পদায়ন করেন। সম্প্রতি যোগদান করার পর পরেই মাদকমুক্ত, জলদস্যুক্ত, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকসহ মডেল কুতুবদিয়া রুপান্তরে অবিচল আছেন নবাগত ওসি। থানা সূত্রে জানা যায়, নবাগত ওসি যোগদানের পরেই জলদস্যু এবং ইয়াবা কারবারিদের গ্রেফতার করতে কর্মপরিকল্পনা তৈরী করেছেন। ইতোমধ্যে ১২ টি মামলার জলদস্যু এবং ইয়াবা কারবারিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ। নবাগত অফিসার ইনচার্জ একেএম সফিকুল আলম চৌধুরীর নির্দেশে কুতুবদিয়াকে বাসযোগ্য নিরাপদ মডেল কুতুবদিয়া রুপান্তরে নানাধরণের কর্ম পরিকল্পনাসহ মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত সম্পাদন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তিনি। থানা সূত্রে আরো জানা যায়, দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় প্রতিটি ওয়ার্ড ভিত্তিক মাদক ব্যবসায়ী এবং জলদস্যুদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। তালিকা অনুসারে নবাগত ওসির নির্দেশে তাদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সদ্য যোগদানকৃত কুতুবদিয়ার নবাগত অফিসার ইনচার্জ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, কক্সবাজারের সুযোগ্য পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসাইন (বিপিএম) বার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন) ইকবাল হোছাইন, কুতুবদিয়া-মহেশখালী সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রতন কুমার দাশ গুপ্তের নির্দেশ মোতাবেক মডেল কুতুবদিয়া রুপান্তরে যাবতীয় যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত এবং অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে। তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য তিনি কুতুবদিয়ার আপামর জনসাধারণকে অনুরোধ করেছেন। তিনি আরো বলেন, মাদক এবং জলদস্যুদের স্থান কুতুবদিয়ার মাটিতে হবে না। জলদস্যু এবং মাদক ব্যবসায়ীদের জীবনরক্ষার্থে আত্নসমর্পণ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। থানায় জিডি এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের ক্ষেত্রে কোন আর্থিক লেনদেন হবে না। যদি কেউ কোন টাকা দাবী করে তাহলে আমাকে জানাবেন। “মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার, পুলিশ হবে জনতার ” এ স্লোগানকে ধারণ করে বাংলাদেশ পুলিশের পথচলা। জনগনের প্রাপ্যসেবা এবং তাদের জানমাল রক্ষার্থে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ সচেষ্ট রয়েছেন। সামগ্রিক দায়িত্ব পালনে তিনি কুতুবদিয়ার সচেতন জনগণ, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। কুতুবদিয়া-মহেশখালীর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ( সার্কেল) রতন কুমার দাশগুপ্ত বলেন, মাত্র কয়েকদিন হলো কুতুবদিয়ার নতুন ওসি যোগদান করেছেন। ইতোমধ্যে কুতুবদিয়া থানা পুলিশের টিম মাদক এবং জলদস্যুদের বিরুদ্ধে এ্যাকশন শুরু করে দিয়েছে। ১২ টি মামলার আসামী জলদস্যু বাদুইল্লাসহ কয়েকজন ইয়াবা কারবারিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, নবাগত ওসি যোগদান করার কয়েকদিনের মধ্যে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান প্রদর্শন এবং তাদের সম্মানরক্ষার্থে তাঁর ডান পাশে চেয়ার বসিয়েছেন । এ ধরণের সৃজনশীল চিন্তাভাবনা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। কুতুবদিয়াকে মডেল নিরাপদ, চমৎকার উপজেলা রুপান্তর করতে জনগণের সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য যে, সদ্য যোগদানকৃত কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী মহেশখালী ও চকরিয়ায় সফলতার সাথে ওসি ( তদন্তের) দায়িত্ব পালন করেছেন।
আলোকিত প্রতিদিন/৪ জুলাই’২০/এসএএইচ