সংবাদদাতা,গাইবান্ধা: গাইবান্ধার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গত ৩ দিনে নদ-নদীর পানি বাড়েনি। একই সঙ্গে ধীরগতিতে কমছে পানি। তবে পানি কমলেও এখনো ঘরে ফিরতে পারেনি বিভিন্ন বাঁধ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেয়া মানুষ। ২ জুলাই বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোলরুম থেকে জানানো হয়, সকাল ৯টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়িঘাট পয়েন্টে ৭৩ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত (১ জুলাই) বুধবার সকাল ৯টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়িঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ৫০ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপরে ছিল। বন্যায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে ৫০৪ পুকুরের দুই কোটি টাকা মূল্যের মাছ। একই সঙ্গে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়া নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা। নদ-নদীর পানি কমলেও বসতবাড়িগুলোতে এখনো হাঁটু পানি জমে রয়েছে। এ কারণে আশ্রিত মানুষেরা এখনো ঘরে ফিরতে পারেনি। তারা চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। টয়লেট সমস্যাসহ বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে পড়েছে বন্যা দুর্গতরা। ভাষারপাড়া বাঁধে আশ্রিত আজাহার আলী বলেন, বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি পানির নীচে রয়েছে। গত ৭ দিন ধরে বাঁধে আশ্রয় নিলেও কেউ সহায়তার হাত বাড়ায়নি। গাইবান্ধা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা একেএম ইদ্রিস আলী বলেন, বন্যার্তদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা রয়েছে। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে বন্যা কবলিত মানুষদের মাঝে সহায়তা পৌঁছানো হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/২ জুলাই’২০/এসএএইচ