আলমগীর হোসেন, শ্রীপুর (গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ গত কয়েকদিনে টানা বৃষ্টি হওয়ায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নগর হাওলা গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। সামান্য বৃষ্টি হলেই তাদের বাড়ী -ঘরে পানি জমে যায়। এ জলাবদ্ধতার কারণে ওই গ্রামের কৃষকেরা তাদের জমিতে ফসল ফলানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তারা জলাবদ্ধতা ও পানিবন্দি থেকে পরিত্রানের জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার জন্য এবং তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা, বড়চালা, মইজাবাইদ গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে পানি বন্দি হয়ে জীবন যাপন করছে। স্থানীয় গুলশান ইস্পিনিং মিল, ডার্চ বাংলা কারখানা, নাসির গার্মেন্টসসহ আশেপাশের অনেক শিল্প কারখানার পানি নীচু জমিতে নামতে না পারায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বড়চালা এলাকার আব্দুল জব্বার জানান, নাসির গ্যাসের কারখানার উত্তর পাশ দিয়ে একটি সরকারি খাল ছিলো। কারখানা হওয়ারপর স্থানীয় প্রভাশালীরা কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে খালের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। এরপর থেকে প্রতি বর্ষায় ওই গ্রামের মানুষ জলাবদ্ধতায় পানিবন্দি হয়ে পড়ে। গ্রামের জমিতে এক সময় তিন ফসল হতো। এখন কোনো ফসল হয় না। পানি অপসারণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এখন সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। রাস্তাঘাট ও বাড়ির উঠানে পানি জমে দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে ওই গ্রামের হাজার পরিবার। পানি বন্দি বাড়ীর মালিক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, এই গ্রামের নিচু জমিতে এক সময়ে তিন ফসল হতো। এখানকার পানি সরকারি খাল দিয়ে নদীতে গিয়ে পড়তো। জৈনা বাজার-বাশঁবাড়ী সংযোগ সড়কের ব্রীজ ভরাট করায় পানি জমে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরে। প্রায় ১০ বছর আগে জলাবদ্ধতা ছিল না, পানি চলে যেত পাথার এলাকায়। গাজীপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল আজিজ বলেন, চারপাশে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় গ্রামের নিচু জমি ভরাট হয়ে গেছে। এতে বর্ষার সময় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, বর্ষা কমে গেলে ওই গ্রামে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ শুরু করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/১৭ জুন ‘২০/এসএএইচ