আজ বৃহস্পতিবার, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বহাল তবিয়তেই বহিষ্কৃত আসাদুজ্জামানের ‘ডানহাত’ ডিএসসিসির তানভীর, জনমনে বিষ্ময়

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

::জোছনা মেহেদী::

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (ডিএসসিসি) শত দুর্নীতির আরেক হোতা নির্বাহী প্রকৌশলী (পিএনডি) মো. তানভীর আহমেদের অপরাধের থলে খুলতে শুরু করেছে। বেরিয়ে আসছে শুরু করেছে ভয়ঙ্কর তথ্য। সদ্য বহিষ্কৃত অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবেই পরিচিত তিনি। দায়িত্বগ্রহণের দ্বিতীয় দিনেই মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস তাকেসহ আরও একজনকে বহিষ্কারর করেন। পরে আরও ২ জন বহিষ্কার এবং ২ জনকে অন্যত্র বদলি হন। তবে আসাদুজ্জামানের সকল কর্মের ভাগিদার প্রকৌশলী তানভীরকে বহাল তবিয়তে দেখে রীতিমত বিষ্মিত অনেকেই। রয়েছে তাদের নানান অভিযোগও।

জানা যায়, বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদের তদবিরে মেয়র সাদেক হোসেন খোকার আমলে চাকুরী পান প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ। অভিযোগ রয়েছে, তানভীর তার চাতুর্য আর নানা অপকর্মের পরিকল্পনা দিয়ে ঘনিষ্টজন বনে যান বহিষ্কৃত প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামানের। এরপর তারা দুজনসহ কয়েকজনের যোগসাজসে ডিএসসিসির বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে চালান দুর্নীতির মহোৎসব। প্রকৌশলী তানভীর নামে -বেনামে সম্পদ গড়ে হয়ে ওঠেন ধনকুবের।
এক অভিযোগে বলা হয়, গত ৪ বছরে ডিএসসিসির মেগা প্রকল্পের দায়িত্বে থেকে সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানের সঙ্গে যোগসাজসে তানভীর ঠিকাদারদের কাছ থেকে নানা অঙ্কের কমিশনবাণিজ্যও করেছেন। আসাদুজ্জামানের বহিষ্কারাদেশের পর অপরাধের প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টায় রয়েছেন তিনি।
একাধিক সূত্রের অভিযোগে আরও জানানো হয়, আসাদুজ্জামান তার দুর্নীতির হাতিয়ার হিসাবে তানভীরকে ফাইভ জোন প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী, ফোর ইউনিয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও অতিবৃষ্টি প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেন। আর সেখান থেকে কালো টাকায় বনে যান ধন্যাঢ্যদের একজন।
নাম প্রকাশে এক ঠিকাদার বলেন, ‘প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান শুধু নন, ডিএসসিসিতে লুকিয়ে আছে তার মত আরও অনেকেই। যাদেরকে তৈরি করেছেন এই আসাদুজ্জামানই। তাই তিনি বহিষ্কার হলে এদের অনেকেই নারাজ ছিলেন। আবার বহিষ্কার হয়েও তলে তলে নানা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে লিপ্ত রয়েছেন আসাদ।’
অপর একজন বলেন, ‘মেয়র তাপস সৎজন। তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেই অপরাধীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। তবে তাকে ভুল তথ্য দিয়েও বিভ্রান্তিতে রাখার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। তানভীরের মত প্রকৌশলী ডিএসসিসির জন্য মারাত্মক হুমকি। সে প্রকৌশলী আসাদুজ্জামাদের মতই ভয়ানক দুর্নীতিবাজ। মেয়র মহোদয় তদন্ত করলে সব জানতে পারবেন। ফাইভ জোন প্রকল্প, ফোর ইউনিয়ন প্রকল্প, অতিবৃষ্টি প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া থেকে বিল প্রদান কতটা ঘাপলা আর দুর্নীতি হয়েছে তা বলে বোঝানো যাবে না।’
তারা দুজনসহ আরও অনেকে মেযর তাপসের ওপর আস্থা রেখে একই সঙ্গে তানভীরকে এখনো বহাল দেখে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন।

টেন্ডারদুর্নীতি ও বিলের বিষয়ে প্রকৌশলী তানভীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক আলোকিত প্রতিদিনকে বলেন, ‘একজন প্রকল্প পরিচালকই দরপত্রের সকল দায়িত্ব পালন করেন। সেক্ষেত্রে তাকে প্রভাবিত করার সুযোগ আমার অবস্থান থেকে নেই। আমি তো প্রকল্প পরিচালক ছিলাম না।’
বহিষ্কৃত প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানের ঘনিষ্টজন হয়ে বিভিন্ন পকল্পের বিশেষ দায়িত্বপালন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ যে দায়িত্ব যথনই আমাকে দিয়েছে, আমি তা সততার সঙ্গে যথাযথভাবে পালন করেছি।’

- Advertisement -
- Advertisement -