সংবাদদাতা,চট্রগ্রাম: বৈশ্বিক মহামারী করোনার ধাক্কা ভালোমতোই পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। করোনার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে গত ২ মাসে হ্রাস পেয়েছে জাহাজ ভীড়। করোনা মহামারীর শুরুর দিকে ফেব্রুয়ারি ও মার্চে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের আগমন সামান্য হলেও বৃদ্ধি হয়েছিলো। কিন্তু এপ্রিল ও মে মাসে এসে তলানীতে নেমে গেছে জাহাজ আগমন। চট্টগ্রাম বন্দরের সর্বশেষ মাসভিত্তিক পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে বন্দরটিতে পণ্যবাহী জাহাজ ভিড়েছে ২৫৭টি। এর ঠিক পরের মাস মে মাসে এ সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ২২৩-এ। এ হিসাবে, ২০২০ সালের মে মাসে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দরে জাহাজ আগমন কমেছে ১৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। জাহাজ আগমন হ্রাসের ধারা অব্যাহত ছিল এপ্রিলেও। মাসটিতে ২৫৭টি পণ্যবাহী জাহাজ চট্রগ্রাম বন্দরে ভিড়লেও মার্চে ভিড়েছিলো ৩৬৬টি জাহাজ। এ হিসেবে মার্চের তুলনায় এপ্রিলে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ আগমন কমেছে ২৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর সংখ্যার হিসাবে বন্দরে জাহাজ কম এসেছে ১০৯টি। জাহাজ আগমন কম হওয়ায় বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি ও রপ্তানিও হ্রাস পেয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, এপ্রিলে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি আগের মাসের তুলনায় ঢের কমেছে। এর প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের রাজস্ব আয়ে। চট্টগ্রাম বন্দরের মাসভিত্তিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে এতো কম সংখ্যক জাহাজ কোনো মাসেই ভেড়েনি চট্টগ্রাম বন্দরে। চলতি অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে সবচেয়ে কম জাহাজ এসেছিলো জুলাইয়ে। সংখ্যাটি ছিল ২৫৮। চলতি বছরের তুলনায় একটি হলেও বেশি জাহাজ এসেছিলো মাসটিতে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১১ মাস সময়ে এরপর সবচেয়ে কম জাহাজ এসেছিলো গত ডিসেম্বরে ৩৩২টি। তবে আশার কথা হলো, বিশ্বে লকডাউন শিথিল হয়ে আসায় ও শিল্প কারখানা খুলতে শুরু করায় পণ্য পরিবহণের গতিও কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে।
আলোকিত প্রতিদিন/৬ জুন ‘ ২০/এসএএইচ