জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৭০, সর্বোচ্চ ২২০০, রাজশাহীতে ৫৫ টাকা

0
424

:: ডেস্ক প্রতিদিন::
রমজানে এবারও ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭০ টাকা এবং সর্বোচ্চ দুই হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও রাজশাহীতে তা ৫৫ টাকা। ফিতরা নির্ধারণ উপলক্ষে বুধবার (৬ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী মহানগরীর দরগাপাড়ায় জামিয়া ইসলামিয়া শাহমখদুম (রহ.) মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত সভা থেকে এই সিদ্ধান্ত আসে। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা মো. শাহাদত আলীর সভাপতিত্বে বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক, ওলামায়ে কেরাম, মুফতি, মুহাদ্দিস, সাংবাদিক এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মতামত গ্রহণ করে রাজশাহী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য এ বছর ৫৫ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়। যদিও সোমবার (৪ মে) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৭০টাকা এবং সর্বোচ্চ ২২০০ টাকার সিদ্ধান্ত আসে। গম বা আটার বাজার মূল্য হিসাব করে ফিতরার এই হার নির্ধারণ করা হয়। গত বছরও ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ছিল ৭০ টাকা। তবে গত বছর সর্বোচ্চ এক হাজার ৯৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানায়, ইসলামী শরিয়াহ মতে, সামর্থ্য অনুযায়ী আটা, খেজুর, কিশমিশ, পনির ও যবের যেকোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা যাবে। আটার ক্ষেত্রে এর পরিমাণ এক কেজি ৬৫০ গ্রাম; খেজুর, কিশমিশ, পনির বা যবের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রামের মাধ্যমে সাদাকাতুল ফিতর (ফিতরা) আদায় করতে হয়। এসব পণ্যের বাজার মূল্য হিসাব করে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আটার ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা’) আটা বা এর বাজার মূল্য ৭০ টাকা। যবের ক্ষেত্রে (এক সা’) ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২৭০ টাকা ফিতরা দিতে হবে। গমের ক্ষেত্রে (অর্ধ সা’) এক কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৭০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।
এছাড়া ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস বা এর বাজার মূল্য এক হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে। খেজুরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য এক হাজার ৬৫০ টাকা ও পনিরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ফিতরার পণ্যের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্য পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।
জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বুধবার জামিয়া ইসলামিয়া শাহমখদুম (রহ.) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা মো. শাহাদত আলী জানান, ফিতরাদাতা তার নিজ এলাকার বাজার মূল্য ধরে ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম আটা, ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস বা খেজুরের দাম হিসাবে ফিতরা আদায় করতে পারবেন। গত বছরও রাজশাহী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ৫৫ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here