::ডেস্ক প্রতিদিন ::
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন প্রদেশে ভাইরাস সংক্রমণ ব্যতীত অন্য কারণে মৃত্যুর শিকার ‘প্রায় একশ বাংলাদেশির লাশ’ দেশে পাঠানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সেখানকার প্রবাসী কমিউনিটি নেতারা। প্রবাসী সংগঠক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি আবুধাবির সাধারণ সম্পাদক নাসির তালুকদার কয়েকজন বাংলাদেশির লাশ দেশে পাঠাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন।
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, “শুধু দুবাইতেই ৪৫ জনের বেশি প্রবাসীর লাশ বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে। আবুধাবি, আল আইন, শারজাহ ও অন্যান্য প্রদেশের হাসপাতালের মর্গেও বাংলাদেশিদের লাশ রয়েছে বলে খবর পেয়েছি। সবমিলিয়ে প্রায় একশ বাংলাদেশির মরদেহ দেশে পাঠানো যায়নি।” স্থানীয় দূতাবাসে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তারা বাংলাদেশিদের লাশের সংখ্যার ব্যাপারে কোনও তথ্য নিশ্চিত করেনি। এ বিষয়ে দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল ইকবাল আহমেদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা বন্ধ ফ্লাইট চালু হওয়ার অপেক্ষায় আছি।”
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ২১ মার্চ থেকে আমিরাতের সাথে সব ধরনের বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ। তার আগে থেকেই দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালের প্রধানত হৃদরোগ ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে বিভিন্ন সময়ে মারা যাওয়া বাংলাদেশিদের লাশ দেশে পাঠানোর অপেক্ষায় ছিল। সম্প্রতি দুই দফায় বিশেষ ফ্লাইটযোগে আমিরাত থেকে আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে অবৈধভাবে বসবাসকারী ও ছোটখাট অপরাধী মোট ৩১২ জন বাংলাদেশিকে স্থানীয় বিভিন্ন কারাগার থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি আবুধাবির সাধারণ সম্পাদক নাসির তালুকদার বলেন, “প্রবাসীরা চান একটি বিশেষ কার্গো ফ্লাইটে স্বাভাবিক কারণে আমিরাতে মৃত্যুবরণকারী সকল বাংলাদেশির লাশ দেশে ফেরত পাঠানো হোক।” এছাড়া স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সব দেশের অভিবাসীর লাশ স্থানীয়ভাবেই শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।