:: ডেস্ক প্রতিদিন ::
৬৩ বছরের বিবাহিত জীবন। প্রথমে ৮১ বছর বয়সের স্ত্রী মেরির ধরা পড়ে করোনাভাইরাস। কয়েকদিন পর ৯০ বছরের স্বামী বিলকেও একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা যায়, তিনিও করোনা পজিটিভ। বিলকে বাঁচাতে চিকিৎসকরা যখন আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তখন জানতে পারেন তাকে ছেড়ে চলে মেরি। স্ত্রীর মৃত্যু সংবাদে বেঁচে থাকার আগ্রহ হারিয়ে ফেললেন বিল। অক্সিজেন মাস্ক পরতে অস্বীকৃতি জানিয়ে অপেক্ষায় থাকেন মৃত্যুকে আলিঙ্গণের। কয়েক ঘণ্টা পর তিনিও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এভাবেই ছয় দশকের বেশি দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটিয়ে একই দিনে পৃথিবী ছেড়ে গেলেন বিল ও মেরি।
পরিবারের সদস্যরা বলছেন, তারা ছিলেন বিশেষ মানুষ। ইস্টার সানডেতে যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন জেনারেল হাসপাতালে একই দিনে মৃত্যু হয় বিল ডার্টনাল ও তার স্ত্রীর মেরির। উভয়েই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। এই দম্পতির মেয়ে রোজমেরি জানান, মায়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে বাবা অক্সিজেন গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। মাকে ছাড়া তিনি বাঁচতে চাননি।
বিল-মেরির বিবাহিত জীবন ৬৩ বছরের। হলিডে ইন হোটেলে একটি অস্থায়ী বয়স্ক নিবাসে বাস করছিলেন তারা। মার্চের শেষ দিকে মেরিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকদিন পর স্ট্রোক করেন ডার্টনাল। তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ধরা পড়ে করোনাভাইরাস।
রোজমেরি জানান, মা-বাবা হাসপাতালের একই ওয়ার্ডে ছিলেন। ইস্টার সানডেতে মায়ের মৃত্যুর বাবা অক্সিজেন মাস্ক পরতে অস্বীকৃতি জানান। কয়েক ঘণ্টা পর তার শান্তিপূর্ণ মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, তারা দারুণ জুটিতে পরিণত হন। আমার বাবা নিশ্চিতভাবেই মাকে ছাড়া বেঁচে থাকতে চাননি। জীবন সবসময় সহজ ছিল না। কিন্তু তারা কঠিন সময় একসঙ্গে অতিক্রম করেছেন এবং আমাদের ছেড়ে গেছেনও একসঙ্গে।
রোজমেরি আরও বলেন, বাবা-মাকে হারানো এমনিতেই কষ্টের। কিন্তু তাদের কাছ থেকে দূরে থাকা এবং শেষ মুহূর্তে তাদের পাশে থাকতে না পারা অনেক বেশি কষ্টের।
রোজমেরির বোন অ্যান জানান, লকডাউনের বিধিনিষেধ প্রত্যাহার হলে বাবা-মায়ের স্মরনসভা আয়োজন করা হবে।